বিমানবন্দরে যাত্রীর সঙ্গে একজনের বেশি স্বজন নয়

বিমানবন্দরে প্রবেশ পথে বাড়তি সতর্কতাহজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম  স্বাভাবিক রাখাসহ নিরাপত্তার স্বার্থে বিদেশগামী যাত্রীর সঙ্গে একজনের বেশি স্বজন না নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ প্রসঙ্গে বিমানবন্দরের পরিচালক কাজী ইকবাল করিম বলেন, ‘নিরাপত্তার স্বার্থে বিমানবন্দরে একজন যাত্রীর জন্য একজনের বেশি স্বজন না যাওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। পাশাপাশি বিমানবন্দরে নিরাপত্তায় বাড়তি সর্তকতাও নেওয়া হয়েছে। এছাড়া শুক্রবার ওই এলাকায় পুলিশ চেকপোস্টে আত্মঘাতী বিস্ফোরণের ঘটনায় বিমানবন্দরের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়নি বলেও তিনি জানান।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রসঙ্গে শনিবার বিমানবন্দরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদা সুলতানা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিমানবন্দরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। শুক্রবার যে ঘটনা ঘটেছে, তা  বিমানবন্দর এলাকার ভেতরে নয়। তবু নিরাপত্তার স্বার্থে প্রতিটি পয়েন্টে সতর্ক নজরদারি ও তল্লাশি বাড়ানো হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি, বিমানবন্দরের ভেতরে যাত্রী ছাড়া দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে। বিমানবন্দরের বাইরের  এলাকায় চেক পোস্টগুলোতে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের সদস্য সংখ্যাসহ তল্লাশি বাড়াতে বলা হয়েছে। সিভিল এভিয়েশন, অ্যাভসেক, পুলিশের সমন্বয়ে টিম পুরো বিমানব্ন্দর এলাকা টহল দিয়ে নজরদারি করছে।’

 

বিমানবন্দরটির পরিচালক কাজী ইকবাল করিম বলেন, ‘জনমনে ভীতি সৃষ্টি হওয়ার কোনও কারণ নেই।  বিমানবন্দরে স্বাভাবিক নিয়মে চলছে। সর্তকতার জন্য তল্লাশি বাড়ানো হয়েছে। আমরা এখন পর্যন্ত দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ না করলেও একজনের বেশি না আসতে অনুরোধ করছি।’

বিমানবন্দরে প্রবেশপথে যাত্রীদের তল্লাশি

এয়ারপোর্ট আর্মড ব্যাটেলিয়নের পুলিশ সুপার রাশেদুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ীই বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। সতর্কতা হিসেবে বিমানবন্দর এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে তল্লাশি বাড়ানো হয়েছে।’

এদিকে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে দু’টি ‘আত্মঘাতী’ বোমা বিস্ফোরণে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা। ধারাবাহিক অভিযানে জঙ্গিগোষ্ঠীকে কোণঠাসা করার কথা বলা হলেও জঙ্গিরা একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে। গত ১৭ মার্চ রাজধানীর বিমানবন্দর বাসস্ট্যান্ড থেকে অদূরে আশকোনায় নির্মাণাধীন র‌্যাব সদর দফতরে ‘আত্মঘাতী’ বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় এক জঙ্গি। এর এক সপ্তাহ পরই শুক্রবার রাত পৌনে ৮টার দিকে বিমানবন্দর বাসস্ট্যান্ডে  আবার ‘আত্মঘাতী’ বিস্ফোরণ ঘটালো তারা। যদিও পুলিশ এ হামলাকে আত্মঘাতী না বলে বোমা বহনের সময় ‘বিস্ফোরণ’ বলে দাবি করছে। বিমানবন্দর গোল চত্বরের পাশে পুলিশ বক্সের সামনে আত্মঘাতী বিস্ফোরণের পর রাজধানীসহ সারাদেশে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ ভবন, বিদেশি নাগরিকদের অফিস ও বাসস্থান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন কার্যালয়ে নিয়োজিতদের সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে। 

এ ঘটনার পর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ‘পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন। কেপিআইসহ সব ধরনের স্থাপনা নিরাপদ রাখতে পুলিশ নজরদারি করছে।’

আরও পড়ুন: ‘বিমানবন্দরের সামনে নিহত ব্যক্তিকে আত্মঘাতী বলেই মনে হচ্ছে’

/এমএনএইচ/