ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যারা মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক বলে নিজেদের দাবি করেন, আমি সেই ঘোষক দাবিদার দলকে জিজ্ঞেস করতে চাই, ২৫ মার্চের এই গণহত্যা দিবসে আপনাদের কর্মসূচি কী? আমি জানতে চাই, আপনারা এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের দিনে নীরব কেন?’ তিনি বলেন, ‘এখানেই মেরুকরণ হয়ে যাবে। এখানেই মেরুকরণ হচ্ছে কারা সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে মদদ দেয়, আলবদর শত্রুদের সঙ্গে মিত্রতা করে। তারা মুক্তিযুদ্ধকে মানে না। বিএনপি নীরব কেন? বিএনপির কোনও কর্মসূচি আজ নেই কেন? আজকের এই নৃশংসতম, বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের দিনে দল হিসেবে বিএনপির অবস্থান কী? তাদের অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে, তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে, না ৪৭ পাকিস্তানের ধ্যান-ধারণা লালন করে?’
দলীয় নেতাকর্মীদের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘খাঁটি কর্মীদের ভেতরে কাউয়াও আছে। কাউয়া পঁচাত্তরে ছিল, একাত্তরেও ছিল। কাউয়া এখনও আছে। তারা ক্ষমতার স্রোতে ঢুকে যায়। আর কিছু কিছু নেতা দল ভারী করার জন্য কাউয়াদের নামও লিস্টে লেখান। আমাদের কাউয়ার দরকার নেই।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, মোজাফফর হোসেন পল্টু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মেয়র সাঈদ খোকন, আওয়ামী লীগ নেতা ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ঢাকা দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।
/পিএইচসি/এমএনএইচ/