‘২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতির কোনও সুযোগ নেই’

বাংলাদেশ স্টাডি গ্রুপের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন শাহরিয়ার কবির

ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেছেন, আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে ২৫ মার্চকে ঘোষণার আর কোনও সুযোগ নেই। কারণ, ইতোমধ্যে ৯ ডিসেম্বরকে গণহত্যা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে জাতিসংঘ।

সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স কক্ষে ‘জাতীয় গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্ট।

শাহরিয়ার কবির বলেন, ২০১৫ সালেও যদি আমরা এই দাবিটি তুলতাম তখনও স্বীকৃতি পেলেও পেতে পারতাম। কিন্তু এখন আর সুযোগ নেই। কারণ, ইতোমধ্যে ৯ ডিসেম্বরকে গণহত্যা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে জাতিসংঘ। সুতরাং ২৫ মার্চকে নয় বরং মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসকেই গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য চেষ্টা করতে হবে। 

তিনি আরও বলেন, আমরা যদি ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতির দাবি করে তা না পেয়ে ফিরে আসি তাহলে পাকিস্তান আরও ‘বগল’ বাজাবে। তারা বলবে, ‘আসলে এই দিনে কোনও গণহত্যা হয়নি, আর এ কারণেই স্বীকৃতি পায়নি বাংলাদেশ’। সুতরাং, ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেতে কোনও লবিং করে লাভ নেই। ফলে আমাদেরকে অন্যভাবে এগুতে হবে।

সভায় শহীদ ড. আলিম চৌধুরীর মেয়ে ড. নুজহাত চৌধুরীও শাহরিয়ার কবিরের মতকে সমর্থন করেন।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। বক্তৃতায় তিনি এরপরেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবসকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার সব ধরনের চেষ্টা চালানো হবে। সুযোগ এখনও হাতছাড়া হয়নি। এখন ৯ ডিসেম্বরকে যে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করা হয় তার পেছনে তেমন কোনও কারণ নেই। এর তেমন কোনও ইতিহাস নেই।

বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্টের সভাপতি ড. এ কে আব্দুল মোমেন সভাপতিত্ব করেন। আরও বক্তব্য রাখেন, একাত্তর টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল হক বাবু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ফজলুল হক প্রমুখ।

/আরএআর/টিএন/