বুধবার (২৯ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত পরীক্ষা সংক্রান্ত্র আইন-শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে তিনি এ সব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষকরা যদি এই কাজ করেন, তাহলে জাতি কোথায় যাবে? তাদের এই মহান পেশায় থাকার অধিকার নেই। যারা প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকবেন তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কিছু করছি না তা নয়, তৎপর আছি বলেই ধরা পড়ছে। কিন্তু সব কথা বলতেও পারছি না হজমও করতে পারছি না।’
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘দয়া করে ভালো করে লেখাপড়া করো। প্রশ্নফাঁসের পেছনে ছুটবে না।’
অভিভাবকদের উদ্দ্যেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আপনার ছেলেমেয়েদের ভালো করে লেখাপড়া করান। প্রশ্নফাঁসের পেছনে দৌড়াবেন না, ছেলেমেয়েদেরও দৌড়াতে দেবেন না।’
পরীক্ষা সংক্রান্ত আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে উপস্থিত মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ কমিশনার শেখ নাজমুল আলম বলেন, ‘আমরা প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার ঘটনায় গত দুই মাসে ২৬ জনকে গ্রেফতার করেছি। এর মধ্যে দুইজন অধ্যক্ষ ও তিনজন শিক্ষক রয়েছে। ফেসবুকে প্রশ্নফাঁসের একটি গ্রুপে ২৫ হাজার সদস্য রয়েছে। একটি অ্যাডমিনে ৯ হাজার ও আরেকটি অ্যাডমিনের ১৬ হাজার সদস্য রয়েছে। ফেসবুক গ্রুপের এই চক্রকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলেছে। দু-এক দিনের মধ্যে তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলেও আশা প্রকাশ করছি। এটি সম্ভব হলে প্রশ্ন প্রশ্নপত্র ফাঁসকারিদের বিরুদ্ধে আমাদের বড় সফলতা আসবে।’
আগামী রবিবার শুরু হতে যাওয়া এইচএসসি পরীক্ষাকে নকলমুক্ত ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসেন, কারিগরি শিক্ষা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আলমগীর, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অরুণা বিশ্বাস ও রুহী রহমান এবং বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
/এসএমএ/এআর/