জঙ্গি আস্তানার খবরে ভোটে প্রভাব পড়েনি

গন্ধমতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মহিলা কেন্দ্রকুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার কোটবাড়ীতে গন্ধমতি বড় কবরস্থান এলাকায় বুধবার জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে একটি বাড়ি ঘেরাও করে রাখা হয়। তবে এই খবরে কুসিক নির্বাচনে কোনও প্রভাব পড়েনি বলে জানান ভোটার ও নির্বাচনি কর্মকর্তারা। বরং জঙ্গি আস্তানার কাছেই দুটি ভোট কেন্দ্রে ব্যাপক ভোটার উপস্থিতি দেখা গেছে।

ভোটের মাত্র একদিন আগে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে জঙ্গি ঘাঁটির সন্ধান মেলায় স্থানীয় জনগণের মধ্যে একটা থমথমে ভাব তৈরি হয়েছিল। তবে ভোটে তার প্রভাব পড়েনি। বৃহস্পতিবার ভোট কেন্দ্রগুলো ঘুরে স্বাভাবিক পরিস্থিতি চোখে পড়েছে। বিশেষ করে জঙ্গি আস্তানার কাছের একটি মহিলা কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। তবে জঙ্গি সংশ্লিষ্ট এলাকা দক্ষিণ বাঘমারার ভুইয়াবাড়ি ও পিরোজপুরে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধার মুখে পড়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বেলা সাড়ে ১০টায় জঙ্গি আস্তানার কাছে গন্ধমতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মহিলা কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, লম্বা লাইনে দাড়িয়ে আছেন ভোটাররা। সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত (৯৩ নম্বর) কেন্দ্রের ২০৬৪ ভোটের মধ্যে ৪০০ ভোট পড়েছে। এসময় লাইনের কয়েকশ ভোটারকে দেখা যায়।

এ বিষয়ে কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার এস এম মোজাম্মেল হোসেন জানান, ‘এখানকার অবস্থা সম্পর্কে কর্মকর্তারা অবহিত। তবে ভোটে প্রভাব পড়েনি। ভীতিকর পরিবেশ নেই।’

পাশের ল্যাবরেটরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পুরুষ কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি এতোটা নেই। তবে সকাল ১১টা নাগাদ সেখানকার ২৩৬৫ ভোটের মধ্যে সাড়ে চারশ ভোট পড়েছে। এ ব্যাপারে কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মো. ইউনুস মিয়া বলেন, ‘নিরাপত্তা নিয়ে কোনও শঙ্কা নেই। তবে এই কেন্দ্রের ভোটারদের অনেকেই কুমিল্লা পলিটেকনিক, বার্ড সহ বিভিন্ন সরকারি অফিসে চাকরি করেন। অনেকে আগে ভোটার হয়েছেন, তবে এখন বদলি হয়ে চলে গেছেন। যার কারণে ভোটার কম।’

এদিকে ভোটার তালিকায় নাম না থাকায় অনেকে ভোট দিতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন। জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে নিয়ে এসেও ভোট দিতে না পেরে তারা ফেরত গেছেন।

উল্লেখ্য কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে চারজন প্রার্থী লড়াই করছেন। নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের আঞ্জুম সুলতানা সীমা, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির মনিরুল হক সাক্কু, তারা প্রতীক নিয়ে জেএসডির শিরিন আক্তার এবং স্বতন্ত্র হিসেবে লড়ছেন মামুনুর রশীদ। সংরক্ষিত আসনে ৪০ নারী ও সাধারণ ওয়ার্ডে ১১৪ জনসহ মোট ১৫৮ জন ৩৭টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

২৭টি সাধারণ ও ৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার ২ লাখ ৭ হাজার ৫৬৬ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ২ হাজার ৪৪৭ জন পুরুষ এবং ১ লাখ ৫ হাজার ১১৯ জন মহিলা। নির্বাচনে মোট ভোট কেন্দ্র ১০৩টি এবং ভোট কক্ষ ৬২৮টি। প্রিজাইডিং অফিসার ১০৩, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ৬২৮ এবং পোলিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন ১ হাজার ২৫৬ জন।
কুসিক নির্বাচনকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে মোতায়েন করা হয়েছে র্যা ব-পুলিশ। ভোটের দু’দিন আগে অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে বহিরাগতদের নির্বাচনি এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

/এফএস/

আরও পড়ুন-





জনগণের রায় মাথা পেতে নেবো: সীমা