তালিকায় নাম না থাকায় ভোট দিতে না পারার অভিযোগ

কুসিক নির্বাচনে ভোট চলছেভোটার তালিকায় নাম না থাকায় কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অনেকে ভোট দিতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন। জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে নিয়ে এসেও ভোট দিতে না পেরে তারা ফেরত গেছেন। বেশ কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে এই ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

২৪ নম্বর ওয়ার্ডের গন্ধমতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (নারী কেন্দ্র) ও পাশের ল্যাবরেটরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (পুরুষ কেন্দ্র) বেশ কয়েকজন ভোটার অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রে এসে তারা নাম নেই দেখতে পান। এ বিসয়ে প্রিজাইডিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে কথা বলেও কোনও সুরাহা পাননি।

আমির হোসেন নামের একজন জানান, ‘ভোটার তালিকায় নাম না দেখে আমি নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট নম্বরে (১০৫) এসএমএস করে ভোটকেন্দ্র ও সিরিয়াল নম্বর সংগ্রহ করি। তারপরও সেটা নিয়ে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেননি।’

ল্যাবরেটরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ইউনুস মিয়া বলেন, ‘ভোটার তালিকায় নাম না থাকলে ভোট দেওয়ার সুযোগ নেই।’

উল্লেখ্য মৃত্যু অথবা ভোটার স্থানান্তর করলেই তালিকা থেকে নাম বাদ পড়ে। তবে এই দুই কেন্দ্রে সম্প্রতি কেউ ভোটার তালিকা থেকে নাম স্থানাস্তর করেননি।   

কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে চারজন প্রার্থী লড়াই করছেন। নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের আঞ্জুম সুলতানা সীমা, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির মনিরুল হক সাক্কু, তারা প্রতীক নিয়ে জেএসডির শিরিন আক্তার এবং স্বতন্ত্র হিসেবে লড়ছেন মামুনুর রশীদ। সংরক্ষিত আসনে ৪০ নারী ও সাধারণ ওয়ার্ডে ১১৪ জনসহ মোট ১৫৮ জন ৩৭টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

২৭টি সাধারণ ও ৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার ২ লাখ ৭ হাজার ৫৬৬ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ২ হাজার ৪৪৭ জন পুরুষ এবং ১ লাখ ৫ হাজার ১১৯ জন মহিলা। নির্বাচনে মোট ভোট কেন্দ্র ১০৩টি এবং ভোট কক্ষ ৬২৮টি। প্রিজাইডিং অফিসার ১০৩, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ৬২৮ এবং পোলিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন ১ হাজার ২৫৬ জন।
কুসিক নির্বাচনকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে মোতায়েন করা হয়েছে র্যা ব-পুলিশ। ভোটের দু’দিন আগে অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে বহিরাগতদের নির্বাচনি এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

জানা গেছে, কুসিক নির্বাচনে সব মিলিয়ে প্রায় ৪ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মাঠে থাকছেন। এর মধ্যে পুলিশ সদস্য ১ হাজার ৩০, আনসার ১ হাজার ৯৭২, র্যা ব ৩৩৮ (২৭টি টিম) ও বিজিবি ৬০০ জন (২৪ প্লাটুন)।

/এফএস/ 

আরও পড়ুন-





জনগণের রায় মাথা পেতে নেবো: সীমা