প্রধানমন্ত্রীর তিন দিনের ভুটান সফর শুরু হচ্ছে আগামী ১৮ এপ্রিল। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগের আমন্ত্রণে শেখ হাসিনা দ্বিপক্ষীয় সফর করবেন। সফরে দেশটির রাজধানী থিম্পুতে একটি অটিজম কনফারেন্সেও বক্তৃতা দেবেন তিনি। সফর শেষে আগামী ২০ এপ্রিল ঢাকায় ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী।
জানা গেছে, পারো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি ভুটানের পারো জেলা থেকে ৬ কিলোমিটার দূরত্বে পারো ছু নদীর তীরে অবস্থিত। এই বিমানবন্দরটির চারপাশে অনেক পাহাড় রয়েছে। এসব পাহাড়ের অনেকগুলোর উচ্চতা সাড়ে ৫ হাজার মিটার পর্যন্ত। এসব পাহাড়ের মধ্য দিয়েই উড়োজাহাজ ওঠা-নামা করতে হয় বিমানবন্দরটিতে। কিন্তু এর চারপাশের পাহাড়গুলো বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ অবতরণের জন্য বড় ধরনের প্রতিকূলতা। আবার, হিমালয়ের কারণে আবহাওয়ার দ্রুত পরিবর্তন হওয়ায় বিমানবন্দরটিতে উড়োযান চলাচল বিঘ্নিত হয়। এসব কারণেই এ বিমানবন্দরটি বিশ্বের অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ বিমানবন্দরে মধ্যে একটি। শুধু তাই নয়, এই বিমানবন্দরে কেবল দিনের আলোতেই উড়োজাহাজ চলাচল করে, রাতের বেলায় বন্ধ থাকে।
এ প্রসঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এক কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিশ্বের কয়েকটি দেশের বিমানবন্দর ঝুঁকিপূর্ণ। এসব বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ উড্ডয়ন ও অবতরণের জন্য পাইলটদের বিশেষ প্রশিক্ষণ নিতে হয়। কাঠমান্ডু ও হংককের বিমানববন্দরও ঝুঁকিপূর্ণ। এ দুই রুটে বিমানের ফ্লাইট পরিচালিত হয়। ফলে এই বিমানবন্দরেরগুলোর জন্য প্রশিক্ষিত পাইলট রয়েছেন। রুট ধরে পাইলটদের পাহাড়ি এলাকায় বিমান পরিচালনার প্রশিক্ষণ দিতে হয়। তবে ভুটানে বিমানের কোনও ফ্লাইট পরিচালিত হয় না। এ কারণে পারো বিমানবন্দরের জন্য কোনও প্রশিক্ষিত পাইলট বিমানে নেই।’
জানা গেছে, ভুটানের রাষ্ট্রীয় এয়ারলাইন্স ড্রুকএয়ার প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮১ সালে। এয়ারলাইন্সটির বহরে রয়েছে ৪টি উড়োজাহাজ। এর মধ্যে এ৩১৯ এয়ারবাস মডেলের ৩টি উড়োজাহাজ ১৮৮ জন যাত্রী বহনে সক্ষম। আর এটিআর ৪২-৫০০ মডেলের একটি উড়োজাহাজ ৪৮ জন যাত্রী বহন করতে পারে।
বাংলাদেশে ড্রুকএয়ারের কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আরিফ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ভুটানের পারো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণে পারদর্শী পাইলট ছাড়া সেখানে উড়োজাহাজ পরিচালনা সম্ভব নয়। ভুটান সফরে প্রধানমন্ত্রী ড্রুকএয়ারের এ৩১৯ এয়ারবাসে ভ্রমণ করবেন। এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’
আরও পড়ুন-
ন্যাম ফ্ল্যাটে এমপি ছাড়া কেউ থাকলে বরাদ্দ বাতিল: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা কার্ড পড়ে আছে মধুর ক্যান্টিনের রান্নাঘরে!
/টিআর/