‘কওমি পাঠ্যক্রম ও যুগের চাহিদা’ শীর্ষক বৈঠকি শুরু

বাংলা ট্রিবিউন বৈঠকিকোরআন এবং হাদিসের আলোকে চৌদ্দশ বছর আগে এ শিক্ষা শুরু। এটি ধর্মীয় শিক্ষা এবং একটি পর্যায়ে গিয়ে দ্বীন-ই শিক্ষাই প্রধান। জামিয়া আরাবিয়্যা দারুল উলুম মাদ্রাসার। জামিয়া আরাবিয়্যা দারুল উলুম মুহাদ্দিস মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ আরমান  বাংলা ট্রিবিউনের এ বৈঠকিতে এ কথা বলেন। ‘কওমি পাঠ্যক্রম ও যুগের চাহিদা’ শীর্ষক বৈঠকীতে পাঠ্যসূচি বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, কওমি মাদ্রাসা বোর্ডের প্রণিত বাংলা ইংরেজি, অংক, ইতিহাস পড়ানোর পামাপাশি আরবি ও হাদিস পড়ানো হয়। প্রাথমিক পযায়ে জাতীয় পাঠ্যক্রমের বইও অনেকে পড়ে।

কওমি মাদ্রাসার সনদের সরকারিভাবে স্বীকৃতির ঘোষণাসহ নানা বিষয় নিয়ে আজ শনিবার (২৯ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাংলা ট্রিবিউনের বিশেষ বৈঠকি।  মিথিলা ফারজানার সঞ্চালনায় এবারের বৈঠকিতে অংশ নিচ্ছেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান, গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার সমন্বয়ক ফিরোজ আহমেদ, জামিয়া আরাবিয়্যা দারুল উলুম মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ আরমান, বাংলা ট্রিবিউনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক সালমান তারেক শাকিল ও বাংলা ট্রিবিউনের সম্পাদক জুলফিকার রাসেল।

প্রসঙ্গত, কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদীসের সনদকে মাস্টার্স (ইসলামিক স্টাডিজ এবং আরবি) সমমান দেওয়ার পর প্রথম পরীক্ষা হতে যাচ্ছে আগামী ১৫ মে। চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই অভিন্ন প্রশ্নপত্রে একসঙ্গে সব বোর্ডের আওতাধীন মাদ্রাসাগুলোতে দাওরায়ে হাদীসের পরীক্ষা নেওয়া হবে। এজন্য গঠন করা হয়েছে ‘আল-হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ নামে নতুন একটি সংস্থা।

/ইউআই/এফএএন/