এসি সাব্বিরের ময়না তদন্ত: হত্যার আলামত মেলেনি

সাব্বির আহমেদ সরফরাজ

রাজশাহী পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) সাব্বির আহমেদ সরফরাজের ময়না তদন্তে হত্যার কোনও আলামত পাওয়া যায়নি। ময়না তদন্ত বোর্ডের প্রধান ও রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মুনসুর রহমান একথা জানিয়েছেন।

রবিবার (৩০ এপ্রিল) ময়না তদন্ত শেষে তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে যে আলামত পাওয়া গেছে তা থেকে আমরা ধারণা করছি, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। হত্যার কোনও আলামত পাওয়া যায়নি। পুলিশের তদন্তের চাহিদা অনুযায়ী রক্ত, ভিসেরা প্রভৃতি সংরক্ষণ করা হয়েছে। ময়না তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন এখনও জমা দেওয়া হয়নি। এটা পরে জমা দেওয়া হবে।’

রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার ইফতেখায়ের আলম জানান, অধ্যাপক মুনসুর রহমানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ময়না তদন্ত বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বোর্ডের অন্য দুই সদস্য হলেন, ফরেনসিক বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক এমদাদুল হক ও একই বিভাগের বর্তমান সহকারী অধ্যাপক এনামুল হক।

ময়না তদন্তের পর এসি সাব্বিরের মরদেহ নেওয়া হয় রাজশাহী পুলিশ লাইনে। সেখানে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

জানাজা শেষে সাব্বিরের বাবা সাবেক ডিআইজি ওবাইদুল্লাহ হক বলেন, ‘ময়না তদন্ত সম্পর্কে এখনও কিছু জানি না। প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে মন্তব্য করা যাবে। এর ওপর ভিত্তি করেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবো।’

তিনি জানান, সাব্বিরের মৃত্যুর ঘটনায় রাজপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছেন তিনি।

পুলিশ লাইনে জানাজা শেষে সাব্বিরের মরদেহ নেওয়া হয়েছে তার উপশহরের বাসায়। সেখান থেকে কেন্দ্রিয় ঈদগাহ মাঠে জানাজার পর টিকাপাড়ায় দাফন করা হবে বলে সাব্বিরের পরিবার সূত্রে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, সাব্বিরের গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার পাকা ইউনিয়নের বাবুপুর গ্রামে। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে পড়াশুনা করেছেন। ৩১তম বিসিএস ক্যাডার ছিলেন তিনি।

রাজশাহী উপশহরের স্ত্রী ও মেয়ে নিয়ে থাকতেন সাব্বির। তার স্ত্রী সুলতানা শারমিন রাজশাহী বারিন্দ্র মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক।

/টিআর/এসটি/