প্রতিবাদ কর্মসূচিতে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘বাংলা ট্রিবিউন অনলাইন পত্রিকায় দেখলাম ওসির বক্তব্য হচ্ছে, আসামিরা বাড়ি নাই, তাই তাদের গ্রেফতার করতে পারছেন না। এটা নিছক আসামিদের বাচানোর প্রচেষ্টা।’ তিনি এই ধরনের ঘটনার বিচারের জন্য আইনগত সাহায্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
ব্ক্তরা বলেন, হজরত আলীর স্ত্রী হালিমার সব দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। হজরত আলী ও আয়েশা হত্যার বিচার করতে হবে। ফারুকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।
গণসংহতি আন্দলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকী তার বক্তব্যে বলেন, ‘এটি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। আজকে আমাদের সমাজে প্রতিবাদের ভাষা হচ্ছে আত্মহত্যা।’
এর আগে প্রতিবাদ সভায় শ্রাবণ প্রকাশনীর কর্ণধার রবিন আহসান তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমরা গাজীপুরের ঘটনা ভুলে গেছি। আমি আমার জন্মের পর এমন ঘটনা দেখলাম যে, বিচার না পেয়ে বাবা তার মেয়েকে নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।’
ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘ন্যায় বিচারের দাবিতে এক হয়েছি। ন্যায় বিচার কেবল প্রশাসনিক কাঠামোর মাধ্যমে অর্জিত হয় না। ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য বার বার রাস্তায় নামতে হচ্ছে। নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে নারী পুরুষ আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, মানবাধিকারকর্মী মাহমুদা শেলী, শিল্পী কফিল আহমেদ, অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম প্রমুখ।
ছবি: সাজ্জাদ হোসেন
/এমটি/ইউআই/ এমএনএইচ/