‘অপরাজেয় বাংলা’ থেকেই বিদায় নিলেন ভাস্কর আব্দুল্লাহ খালিদ

দেশের অন্যতম বিখ্যাত ভাস্কর আব্দুল্লাহ খালিদের মরদেহে ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিশিষ্টজনরা। রবিবার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে এবং পরে বেলা ১২টায় তারই সৃষ্টিকর্ম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত অপরাজেয় বাংলা ভাস্কর্যের পাদদেশে নেওয়া হয়। সেখানেই তাকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

আব্দুল্লাহ খালিদের মরদেহে ফুলেল শ্রদ্ধাতাকে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। এসময় তিনি বলেন, ‘দেশ স্বাধীনের সময় ভাস্কর আব্দুল্লাহ খালিদের অবদান অস্বীকার করার কোনও সুযোগ নেই। তার সৃষ্টিকর্মের মধ্যে দিয়ে দেশের স্বাধীনতাকে আরও মসৃণ করেছে। তার সৃষ্টি অপরাজেয় বাংলাসহ অন্যান্য সৃষ্টিকর্মের জন্য আমরা গর্ব করি। দেশের মানুষ এমন একজন শিল্পীকে কখনোই ভুলবে না।’

আব্দুল্লাহ খালেদ বেঁচে থাকতেই তাকে একুশে পদক দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘যদি তিনি বেঁচে থাকাকালীন পদকটি দিতে না পারতাম তাহলে অনেক বড় আফসোস থেকে যেত।’

ভাস্কর আব্দুল্লাহ খালিদের সৃষ্টি ‘অপরাজেয় বাংলা’এছাড়া তাকে শ্রদ্ধা জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ, বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদ, বাংলা একাডেমি, নাট্য সংগঠন পদাতিক বাংলাদেশ, এশিয়াটিক সোসাইটি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আনোয়ার হোসেন, সঙ্গীতশিল্পী ফকির আলমগীর, চিত্রশিল্পী রফিকুন্নবী, সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস, ডাকসুর সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদব ম. হামিদসহ প্রমুখ।

চিত্রশিল্পী রফিকুন্নবী বলেন, ‘আব্দুল্লাহ খালিদের মত এত মেধাবী ভাস্কর খুব কমই আছে। তার মধ্যে যেমন মেধা ছিল তেমনি তিনি পরিশ্রমি ছিলেন। তার অবদানকে দেশের মানুষ কোটি কোটি বছর মনে রাখবে।’

শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন সংস্কৃতিমন্ত্রীএসময় প্রয়াত এই ভাস্করের স্ত্রী, দুই ছেলে, জামাতা উপস্থিত ছিলেন। ভাস্করের সন্তান সৈয়দ আব্দুল্লাহ জহি বলেন, ‘অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে শ্রদ্ধাঞ্জলির পর বাদ জোহর ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা হবে। জানাজা শেষে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।’

উল্লেখ্য, অপরাজেয় বাংলার ভাস্কর সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদ শনিবার (২০ মে) রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গত ২ মে থেকে আব্দুল্লাহ খালিদ হাঁপানিসহ বার্ধক্যজনিত কারণে বারডেম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় বৃহস্পতিবার তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছিলো।
ছবি: সাজ্জাদ হোসেন
আরও পড়ুন: অপরাজেয় বাংলার ভাস্কর আব্দুল্লাহ খালিদ আর নেই

/আরএআর/এমও/