বনানীর ২ শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলা: পুলিশের ‘কিছু ত্রুটি’ আছে

মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। ছবি: ইন্টারনেটবনানীর হোটেল রেইনট্রিতে দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলায় পুলিশের কিছু ত্রুটি আছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশের মামলা গ্রহণে গড়িমসি, অনিয়ম খুঁজতে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘কিছু ত্রুটি, বিচ্যুতি ও ব্যত্যয় আছে। না হলে সংশ্লিষ্ট অফিসারদের কাছে কৈফিয়ত চাইবো কেন?’

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৭ ধারা অনুযায়ী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে যদি কোনও অভিযোগ আসে তার প্রাথমিক সত্যতা যাচাইয়ের দরকার আছে। সেটা তদন্ত করে অভিযোগ নিতে পারেন তিনি। বনানীতে ধর্ষণের ঘটনার এক মাস সাতদিন পর পুলিশের কাছে অভিযোগ এসেছে। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন আসতে পারে ঘটনা সত্য হলে কেন তাৎক্ষণিকভাবে আসেনি।’

তিনি বলেন, ‘স্পর্শকাতর একটি মামলার ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে তদন্ত করা দরকার ছিল। তবে আমি বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই, পেশাদার বাহিনী হিসাবে আমরা আমাদের দায়িত্বে এক বিন্দু গাফিলতি করিনি। আইনের বাইরে একটি কাজও করিনি। ন্যায়বিচার ব্যাহত হতে পারে আমরা এমন কোনও কাজ করিনি।’

আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘কয়েকজন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। যেহেতু এক মাস সাতদিন পর ধর্ষণের অনেক আলামত নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়, সেই কারণে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।’

মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘এ বিষয়ে যেহেতু কথা উঠেছে, মামলা রুজুতে বিলম্ব হলো কেন, আসামি গ্রেফতারে বিলম্ব হলো কেন, সেগুলোর বিষয়ে একটা স্বচ্ছতা আনতে আমরা অতিরিক্ত কমিশনারের নেতৃত্বে একটা কমিটি গঠন করেছি। কমিটি  ইতোমধ্যে আমার কাছে প্রতিবেদনও জমা দিয়েছে। সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী আমরা সংশ্লিষ্ট অফিসারদের কাছে ব্যাখ্যা চাইবো। এরপর অভিযোগ এবং তাদের জবানবন্দি পর্যালোচনা, পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ডিএমপি কমিশনার বলেন, যদি কেউ ন্যায়বিচারের পরিপন্থী কাজ করে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘কেউ যদি ক্ষমতার অপব্যবহার ও দায়িত্বে অবহেলা করে তাকে শাস্তি পেতেই হবে। ব্যক্তির দায় পুলিশ বিভাগ নেবে না।’

/জেইউ/এমও/এমপি/