ফেসবুকেও দাবদাহ!

প্রচণ্ড তাপদাহআবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসেব নিকেশ বলছে, এটি তীব্র না বরং মৃদু তাপদাহ। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এ সময় এ গরম অনেকটাই স্বাভাবিক, প্রতিবছরই থাকে। অথচ রাজধানীসহ সারাদেশের মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, আগামী আরও তিন-চারদিন তাপমাত্রা এমন বেশি থাকবে। এ সময় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হলেও তাপমাত্রা কমবে না। মূলত দেশের বিস্তীর্ণ এলাকার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু তাপপ্রবাহ। আর এরইমধ্যে ফেসবুক হয়ে উঠেছে গরমের অভিজ্ঞতার ঝুলি। কেউ লিখছেন কী করণীয়, কেউ লিখছেন সতর্কবার্তা কেউবা আবহাওয়া এমন হয়ে যাওয়ার কারণ উল্লেখ করে বিশ্লেষণ করছেন ভবিষ্যতে বাংলাদেশের কী হবে।

গরম ২

চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের কর্মকর্তা মোহম্মদ রায়হানুল হারুন লিখেছেন, দয়া করে পড়ুন এবং অন্যদের পড়ার ব্যাবস্থা করে দিন। দয়া করে এড়িয়ে যবেন না। কারণ, আগামী ৭ দিন ২২-২৭ মে, ২০১৭ পর্যন্ত সূর্যের তাপ অনেক বেশি হবে। প্রচুর গরম পড়বে। শরীর অতি সহজেই পানিশূন্য হয়ে যাবে। *বেশি করে পানি খান, রোদ এড়িয়ে চলুন, বয়স্করা বাড়ির বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন। শিশুদের রোদ, গরম থেকে দূরে রাখুন, পানি পান করান, হালকা খাবার খান। ‘রিচ ফুড’ খাবেন না, মাংস না খাওয়াই ভালো। নিজে সতর্ক থাকুন। অন্যদেরও সতর্ক করুন।

বাংলা ট্রিবিউনের হেড অব নিউজ লিখেছেন, দেশটা মরুভূমি হলে আমরা কি তেলের খনি পাবো?

গরম ১

সমাজ গবেষক রেজা রহমান লিখেছেন, এ কী গরমরে বাবা! বিদ্যুৎ নেই, ফ্যান চলে না। ঘরে না আছে হাতপাখা না পাখা হাতে বাতাস করবার কেউ। কাছে গাছপালা নেই। কোথায় গেলে দুদণ্ড বাতাস মেলে?

গরম ৩

এই গরমে কী করবেন এবং এই গরম কেন দরকার তা নিয়েও আলোচনার শেষ নেই। সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্ট শেখ রোকন তার ওয়ালে লিখেছেন, জ্যৈষ্ঠে যদি যথেষ্ট গরম না পড়ে- এক. আম-কাঁঠাল-লিচুসহ গ্রীষ্মকালীন ফল একযোগে পাকবে না। দুই. বকুল, অশোক, সোনালু, কৃষ্ণচূড়ার মতো ফুল পরাগরেণু ছড়াবে না। তিন. অনেক জীব-অণুজীবের ডিম ফুটবে না; প্রজনন সম্পন্ন হবে না। চার. ভূমি যথেষ্ট তপ্ত না হলে প্রথম বর্ষার বৃষ্টি শুষবে না; সামান্যতেই বন্যা হবে। পাঁচ. কৃষক বোরো ধান শুকিয়ে গোলায় তুলতে পারবে না। ছয়. বর্ষার প্রতি বাঙালির আবেগ হ্রাস পাবে।

গরম ৫

গরমের ফেসবুকে এবং গণমাধ্যমে নানাবিধ প্রতিবেদন দেখে প্রবাসী হাসিব মাহমুদ বলেন, এই গরমে যারা রিকশায় চড়ছেন তারা সামর্থ্য থাকলে একটা ঠাণ্ডা পানির বোতল রিকশাচালককে কিনে দেবেন।

ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক-এর সহযোগী অধ্যাপক তারেক এ চৌধুরী লিখেছেন, খরতাপে জীবন অতিষ্ঠ। বৃষ্টি চাই অবিরত, অঝোরে।

জান্নাতুল স্নিগ্ধা তার বন্ধুদের সতর্ক করে দিয়ে লিখেছেন, বন্ধুরা, আপনাদের উদ্দেশ্যে বলছি, প্রচণ্ড গরম পড়েছে, আপনারা প্রত্যেকে প্রচুর পরিমাণ বিশুদ্ধ পানি পান করবেন। বাইরে বের হওয়ার সময় ছাতা ব্যবহার করবেন।

আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাস প্রতিবেদন অনুযায়ী, মে মাসে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে এক থেকে দু’টি তীব্র এবং অন্যত্র দুই থেকে তিনটি মৃদু বা মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। রবিবার (২১ মে) যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ মৌসুমে ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও ছিল রবিবার ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

/ইউআই/এমও/এমপি/