জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপের দ্বিতীয় ধাপের চতুর্থ দিনের আলোচনা চলছে আজ বৃহস্পতিবার (১৯ জুন)। সকাল সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে এ বৈঠক শুরু হয়। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি, এনসিপি, এলডিপি, সিপিবি, এবি পার্টি, গণসংহতি আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা এতে অংশ নিচ্ছেন।
আজকের আলোচনায় মূলত রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে বুধবারের অসমাপ্ত আলোচনা ও প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সংক্রান্ত বিষয়গুলো উঠে আসছে। এর আগের দিন, বুধবার, জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল ও জেলা সমন্বয় কাউন্সিল বিষয়ক আলোচনার সমাপ্তি হলেও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে আলোচনা অসম্পূর্ণ থাকে।
বৈঠকের শুরুতে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেন, ‘কিছু বিষয়ে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে মতৈক্য হলেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু এখনও অমীমাংসিত। এসব বিষয়ে হয়তো আগামী সপ্তাহে আবার বসতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি জুলাই মাসের মধ্যেই জাতীয় সনদ চূড়ান্ত করতে। এজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।’ তিনি বিগত দিনের ভুল-ভ্রান্তি সততার সঙ্গে মূল্যায়নের আহ্বান জানান।
সংলাপে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন— বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, ড. এ এইচএম হামিদুর রহমান আযাদ,এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, আমার বাংলাদেশ পার্টি এবি পার্টির সভাপতি মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকি, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাৎ হোসেন সেলিম, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম প্রমুখ, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল বারিক।
বৈঠক শেষে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ প্রথমে সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন। পরে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরাও গণমাধ্যমের মুখোমুখি হবেন।