নাগরিক সম্পৃক্ততা বাড়াতে চায় সংসদের পিটিশন কমিটি

জাতীয় সংসদ ভবনজাতীয় সংসদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে প্রতিকার পাওয়ার ইস্যুতে সাধারণ জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়াতে চায় সংসদের পিটিশন কমিটি। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তিতে দিয়ে কমিটি তাদের এখতিয়ারের বিষয়ে জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পিটিশন কমিটির সভাপতি স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে মঙ্গলবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে জানানো হয়, কোনও বিষয়ে প্রতিকার পাওয়ার জন্য দেশের যেকোনও নাগরিক সংশ্লিষ্ট বিধি মেনে সংসদের পিটিশন কমিটিতে আবেদন করার বিধান রয়েছে।
বৈঠক শেষে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাধারণ নাগরিকরা জানেই না যে সংসদে এমন একটি কমিটি আছে, এজন্য বিষয়টি প্রচারের প্রয়োজন। যাতে করে জনগণ প্রতিকার পেতে এই কমিটির দ্বারস্থ হতে পারেন।’
বৈঠকে পিটিশন কমিটিকে জাতীয় সংসদের একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ কমিটি হিসেবে উল্লেখ করে কমিটির সভাপতি শিরীন শারমিন বলেন, ‘যেকোনও জাতীয় জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় দেশের নাগরিকরা পিটিশনের মাধ্যমে জাতীয় সংসদকে গোচরীভূত করতে পারেন। কোনও ব্যক্তি কোনও বিষয়ে প্রতিকার না পেলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির সংসদে পিটিশনের মাধ্যমে বিষয়টি সংসদকে অবহিত করার সুযোগ রয়েছে। সংসদ সদস্যের প্রতিস্বাক্ষরে প্রাপ্ত পিটিশনসমূহ বিবেচনা করে জাতীয় সংসদের স্পিকার সংসদে উত্থাপন করবেন।’

কমিটির এখতিয়ার বিষয়ে স্পিকার বলেন, ‘দেশের প্রচলিত বিধি-বিধানের আলোকে নিষ্পন্ন সম্ভব নয় এমন ক্ষেত্রে পিটিশন কমিটিতে আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। তবে বাস্তবতা হলো যেকোনও বিষয়েই দেশের কোনও না কোনও আইনে প্রতিকারের ব্যবস্থা রয়েছে। এই বিবেচনায় পিটিশন কমিটির কাজ থাকার কথা নয়। তবে আমরা এই কমিটিকে আরও কার্যকর করতে চাই।’

এক প্রশ্নের জবাবে স্পিকার বলেন, ‘পিটিশন কমিটির এখতিয়ারে আনতে সংসদ সচিবালয়ে কয়েকটি আবেদন এসেছে। এগুলোর মধ্যে সেগুলো এখতিয়ারভুক্ত সম্ভব তা সংসদে উপস্থাপন করা হবে এবং পরে সেট পিটিশন কমিটিতে পাঠানো হবে।’ জানা গেছে, পিটিশন কমিটির বিবেচনার জন্য সংসদ সচিবালয়ে ৩টি আবেদন জমা পড়েছে।

স্পিকারের সভাপতিত্বে বৈঠকে মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, মো. আব্দুস শহীদ, শেখ মো. নূরুল হক এবং মহীউদ্দীন খান আলমগীর অংশ নেন। দশ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, সাবের হোসেন চৌধুরী ও মইন উদ্দীন খান বাদল।

/ইএইচএস/এমও/