‘ভাস্কর্য রাজনীতি’ সরকারের হাতিয়ার: ইমরান এইচ সরকার

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গন থেকে ভাস্কর্য অপসারণের প্রতিবাদে মশাল মিছিল (ছবি নাসিরুল ইসলাম)“ভাস্কর্য অপসারণ রাজনীতি’ সরকারের হাতিয়ার। এর সঙ্গে জনগণের কোনও সম্পর্ক নেই। সরকার চায় না, মানুষ কথা বলুক। এজন্য কথা বলতে গিয়ে সকালে আমাদের পাঁচ নেতাকর্মী আটক ও অর্ধশত কর্মী আহত হয়েছেন।” সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে ভাস্কর্য সরানোর প্রতিবাদে আয়োজিত মশাল মিছিল শেষে শুক্রবার (২৪ মে) সন্ধ্যায় গণজাগরণমঞ্চের মুখপত্র ইমরান এইচ সরকার এসব কথা বলেন।
‘ভাস্কর্য সরানো বসানো সরকারের রাজনেতিক সিদ্ধান্ত ও ষড়যন্ত্র’ উল্লেখ করে ইমরান এইচ  সরকার বলেন, ‘আদালত যখন ন্যয় বিচার নিশ্চিত করতে কাজ করছে, সরকার তখন আদালতকে কুক্ষিগত করতে চাইছে। সুপ্রিম কোর্টের আঙিনায় ভাস্কর্য থাকবে কি থাকবে না, সেটি একান্তই প্রধান বিচারপতির সিদ্ধান্ত। সরকারের হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।’

ভাস্কর্য অপসারণের প্রতিবাদে মশাল মিছিল (ছবি নাসিরুল ইসলাম)এরআগে বিকালের সমাবেশ থেকে দ্রুত ভাস্কর্য পুনঃস্থাপনের দাবি তুলে ইমরান এইচ সরকার বলেন, ‘সরকার দেশকে সাম্প্রদায়িক করতে চাচ্ছে।’

আটকদের কর্মীদের মুক্তি দাবি করে মঞ্চের মুখপত্র বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই ভাস্কর্যের ডিজাইন ভাল ছিল না। সেক্ষেত্রে আগামী সাতদিনের মধ্যে যথাযথ ডিজাইনের ভাস্কর্য পুনঃস্থাপনের দাবি জানান তিনি।

এর আগে প্রতিবাদী মশাল মিছিল করেছে গণজাগণ মঞ্চের কর্মীরা। মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে শেষ হয়। এসময় কর্মীরা প্রতিবাদী শ্লোগানে দেন।

বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে ভাস্কর্য সরানোর কাজ শুরু করলে সেখানে উপস্থিত হন গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা। সেখানে তারা প্রগতিশীল ছাত্রজোটের সঙ্গে মিলিয়ে ভোররাত পর্যন্ত অবস্থান নেন এবং ভাস্কর্য  পুনঃস্থাপনের দাবি তোলেন।

/ইউআই/এসএমএ/

আরও পড়ুন
ভাস্কর্য অপসারণ: প্রতিবাদকারীদের ওপর পুলিশের জলকামান ও টিয়ার সেল