গ্রাহকদের স্বর্ণ ফেরত দিচ্ছে আপন জুয়েলার্স

18767353_10211206390053915_282914711_o

আপন জুয়েলার্সের পাঁচটি শাখা থেকে গ্রাহকদের স্বর্ণ ফেরত দেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র দেখিয়ে শুল্ক গোয়েন্দাদের উপস্থিতিতে স্বর্ণ ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) মঈনুল খান বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিক থেকে একযোগে পাঁচটি শাখা থেকেই শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা গ্রাহকদের কাগজপত্র দেখে স্বর্ণালঙ্কার ফেরত দিতে শুরু করে। এখন পর্যন্ত গ্রাহকদের দাবি করা মোট স্বর্ণের পরিমাণ মাত্র সাড়ে ৩ কেজি। কিন্তু আপন জুয়েলার্সের ৫টি শাখা থেকে জব্দ করা হয় প্রায় সাড়ে ১৩ মণ স্বর্ণ ও স্বর্ণালঙ্কার।

18818046_10211206390253920_2037227159_o

সোমবার বেলা ১০টা থেকে রাজধানীর জিগাতলা সীমান্ত স্কয়ারের আপন জুয়েলার্সের শো-রুম থেকে স্বর্ণ ফেরত দেওয়া শুরু হয়। এ ব্যাপারে আপন জুয়েলার্সের সীমান্ত স্কয়ার শো-রুমের ম্যানেজার ইফতেখার আহমেদ বলেন, ‘শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গ্রাহকদের স্বর্ণ ফেরত দিচ্ছি। যেসব গ্রাহক স্বর্ণ কেনার জন্য অগ্রিম টাকা দিয়েছিলেন তাদের টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে শুল্ক গোয়েন্দা অধিতফতরে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। শুনানিতে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সে অনুযায়ী এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

18789269_803140269834368_26903981_o

শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. জাকারিয়া জানান, রশিদ ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি জমা নিয়ে স্বর্ণ ফেরত দেওয়া হচ্ছে। যারা আজ আসতে পারেননি তাদের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত দেবে সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ৬৩ জন গ্রাহকের যে তালিকা তৈরি করা হয়েছিল তার মধ্য থেকে ১৮ জনের মত গ্রাহক স্বর্ণ ফেরত নিয়েছেন। আরও ৩০-৪০ জনের মত উপস্থিত রয়েছেন।

আপন জুয়েলার্সের গ্রাহক নাছিমা বেগম জানান, ‘প্রতিষ্ঠানটির সেবাতে তিনি খুশি। আশা ছিল, স্বর্ণ ফেরত পাবেন পেয়েছেনও।’

জয়নব আক্তার আরেক গ্রাহক বলেন, ‘আমার কোনও বক্তব্য নাই। আমার স্বর্ণ আমি ফেরত পেলেই হলো।’

18766859_10211206208249370_1811408700_o

সীমা নামের আরেক গ্রাহক বলেন, ‘মেরামতের জন্য দেওয়া স্বর্ণ ফেরত পেয়েছি। কিন্তু স্বর্ণ কেনার জন্য ২০ হাজার টাকা অগ্রিম দিয়ে অর্ডার করেছিলাম। অগ্রিম টাকাটা এখনও ফেরত পাইনি। এ ব্যাপারে আপন জুয়েলার্সের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গোয়েন্দা বিভাগে শুনানির পর তারা তাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন।’

শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. জাকারিয়া নেতৃত্বে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের গোয়েন্দারা স্বর্ণ ফেরত দেওয়া তদারকি করছেন।

18818152_803140236501038_1134598549_o

প্রসঙ্গত, বনানীর হোটেল রেইনট্রিতে দুই তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত সাফাত আহমেদের বাবা আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ। ওই ঘটনার পর শুল্ক গোয়েন্দা আপন জুয়েলার্সের পাঁচটি শাখায় অভিযান চালায়। ১৪ ও ১৫ মে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে শুল্ক গোয়েন্দারা আপন জুয়েলার্স থেকে প্রায় সাড়ে ১৩ মণ স্বর্ণ ও ৪২৭ গ্রাম হীরা আটক করেন। এখন পর্যন্ত মালিকপক্ষ এসব স্বর্ণ ও হীরার  কোনও বৈধ কাগজ দেখাতে পারেননি। শুল্ক গোয়েন্দারা ধারণা করছেন, চোরাচালানের মাধ্যমে এসব স্বর্ণ সংগ্রহ করা হয়েছে।

/জেইউ/এআরআর/ এমএ/এসটি/