দুর্বল হয়েছে 'মোরা', মহাবিপদ সংকেত প্রত্যাহার

 ঘূর্ণিঝড়টি এখন স্থল নিম্নচাপে রূপান্তরিত হয়ে রাঙামাটি এলাকায় অবস্থান করছে
কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করার পর দুর্বল হয়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’। এ কারণে উপকূলীয় এলাকা ও নদীবন্দরগুলোকে মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে এর পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
 
আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, কক্সবাজার ও খেপুপাড়া রাডার পর্যবেক্ষণ থেকে দেখা যায় যে, উপকূল অতিক্রমরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ’মোরা’ উত্তরদিকে অগ্রসর হয়ে আজ সকাল ৬ টা থেকে দুপুর ১২ টার মধ্যে কুতুবদিয়ার কাছ দিয়ে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করে দুর্বল হয়ে পড়েছে। এটি বর্তমানে স্থল গভীর নিম্নচাপ আকারে রাঙ্গামাটি ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। স্থল গভীর নিনম্নচাপটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে পড়তে পারে।
 
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, গভীর নিম্নচাপটির প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের পার্থক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি কিংবা বজ্রসহ বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমু্দ্র বন্দরসমূহকে দশ  নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩  নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৮  নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে আজ রাত ৯ টা পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থেকে পরবর্তীতে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
 
/সিএ/টিএন/
 
এ সংক্রান্ত আগের সংবাদ

কক্সবাজার অতিক্রম করেছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’
উপকূলের আড়াই লাখ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে
উপকূলে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত
কক্সবাজারে জোয়ারের পানিতে ৩০ গ্রাম প্লাবিত
কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা
চট্টগ্রাম বন্দরের যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত
চট্টগ্রামের ৭ উপজেলায় ৭৫ হাজার মানুষের আশ্রয় গ্রহণ
অগ্রসর হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’

কক্সবাজার থেকে ২৩০ কিলোমিটার দূরে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’