ব্যস্ততম নগরী ঢাকা এখন অনেকটা ফাঁকা। ঈদের তিন দিনের ছুটি শুরুর আগেই সরকারি ছুটি পড়ায় গত ২২ জুন থেকে রাজধানী ছাড়তে শুরু করে নগরবাসী। ফলে শনিবার (২৪ জুন) বিকালে ঢাকার ফাঁকা হয়ে যাওয়াটা ছিল লক্ষণীয়। এদিন বেসরকারি চাকরিজীবীদের অনেকের অফিস ছিল। এ কারণে সকালের দিকে কিছুটা ভিড় দেখা গেলেও দুপুরের পর ফাঁকা হতে শুরু করে ঢাকা।
মিরপুর রোডে আড়ং সিগন্যাল থেকে শুরু করে সায়েন্স ল্যাব মোড় পর্যন্ত যানজট দেখা যায়নি। তবে এলিফ্যান্ট রোডের জুতার দোকানগুলোতে ছিল উপচেপড়া ভিড়। বাটা সিগন্যাল পার হওয়ার পরই শাহবাগ হয়ে মৎস ভবনের দিকে স্বল্প সময়ে চলে যাওয়া যাচ্ছে নির্বিঘ্নে।
গত ২২ জুন অফিস শেষে আপনজনের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগির জন্য ঢাকা ছেড়ে গ্রামের পথে রওনা হন অসংখ্য মানুষ। অবশ্য রোজার শুরুর দিকে স্কুল-কলেজগুলো ছুটি হয়ে যাওয়ায় আরও আগেই তাদের পরিবারের সদস্যরা ধীরেসুস্থে চলে গেছেন গন্তব্যে। তাদেরই একজন রাজীব হায়দার। শনিবার বিকাল ৩টায় রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার আগে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘১৫ রোজায় সন্তানদের রেখে এসেছি। আম-কাঁঠালের মৌসুমে ওরা দাদাবাড়িতে বেশি সময় থাকতে পারলো। রেখে এসেছি মাকেও।’
চাকরিসূত্রে বিভিন্ন জেলায় থাকা বন্ধুদের নিয়ে ইফতার করতে বেরিয়ে ঢাকা ফাঁকা দেখে অবাক হয়েছেন মিরপুর কাজীপাড়ার বাসিন্দা খায়ের মো. আব্দুল্লাহ। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা বন্ধুরা ঈদের প্রাক্কালে মিলিত হই। একসঙ্গে ইফতার করবো আজ। আগেভাগে বের হয়ে গিয়ে দেখি পুরো রাস্তাই ফাঁকা। মাত্র ১৫ মিনিটে বসুন্ধরা সিটিতে চলে আসতে পেরেছি। সবসময় এমন থাকলে আমাদের কত কর্মঘণ্টাই না বেঁচে যেতো।’
এদিকে শনিবার রাজধানীর গাবতলী, টেকনিক্যাল, গুলিস্তান, সায়েদাবাদ ও কমলাপুর স্টেশনে শ্রমিক শ্রেণীর যাত্রীদের ভিড় লক্ষ করা গেছে।
/ইউআই/জেএইচ/