মেয়ের দেওয়া শাড়ি পরে সংসদে প্রধানমন্ত্রী

 

মেয়ে সায়মা হোসেন পুতুলের দেওয়া জামদানি শাড়ি পরে বুধবার সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ছবি: ফোকাস বাংলা)মেয়ে সায়মা হোসেন পুতুলের দেওয়া জামদানি শাড়ি পরে বুধবার সংসদ অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবারই পুতুল তার স্বামী ও কয়েকজন বিদেশি বন্ধু সোনারগাঁও ঘুরতে গিয়ে ছয় হাজার টাকায় বেগুনি রঙের এই শাড়িটি কিনে আনেন।

সংসদে বুধবার প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় নিজের সাধারণ জীবনযাপনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই এই শাড়িটির প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তিনি বলেন, ‘আজ (বুধবার) আমি একটা শাড়ি পরে আসছি। আমার মেয়ের  কিছু বিদেশি বন্ধু এসেছিল। তাদের নিয়ে সে সোনারগাঁও দেখতে গিয়েছিল। সেখানে তাঁতিরা তাঁত বোনে। সেখান থেকে এই শাড়িটা কিনে এনেছে।’

প্রধানমন্ত্রী জানান, ‘শাড়িটির দাম বিক্রেতা ছয় হাজার পাঁচ’শ টাকা দাম চেয়েছিল, সেখান থেকে আবার ৫০০ টাকা কম নিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কম নেওয়ার জন্য জামাই বাবাজিকে (স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ছেলে মশরুর হোসেন) বললাম, পাঁচ শ  টাকা কম দিলে কেন? বরং পাঁচ শ টাকা বেশি দিয়ে আসতে পারতে। সে বলল, কিনতে গেলে তো একটু বার্গেনিং করতেই হবে।’

এ সময় নিজের সাধারণ জীবন-যাপনের কথা তুলে শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘দেশের মানুষের ভালো থাকাই আমাদের বড় চাওয়া। আজকে প্রধানমন্ত্রী আছি, কালকে না থাকলে চলে যাব। গাড়িতেও চড়তে পারি, ভ্যানেও চড়তে পারি, রিকশায়ও চড়তে পারি, পায়েও হাঁটতে পারি। সবই আমরা পারি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিমানের ফার্স্ট ক্লাসে যাই। আবার যখন থাকব না, ইকনোমি ক্লাসে চড়ব। আমরা সব কিছুর জন্য প্রস্তুত। বাবা-মা আমাদের সেই শিক্ষাই দিয়েছেন। বাংলাদেশের মানুষ ভালো থাক, এটাই একমাত্র কাম্য। আন্তরিকতা দিয়ে কাজ করি বলেই দেশের উন্নতি করতে পারছি। নিজেদের কথা ভাবলে এটা করতে পারতাম না।

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, আমার রাজনীতি ব্যক্তিগত কোনও ভোগ বিলাসের জন্য নয়, উচ্চাবিলাসের জন্য নয়। আমার রাজনীতি বাংলার জনগণের জন্য। আমরা ক্ষমতাকে কখনও ভোগ বিলাসের বস্তুতে পরিণত করিনি। ক্ষমতায় এসে কোনও ব্র্যান্ড পরব, কোন ব্র্যান্ড নিয়ে চলব, কোন গাড়িতে চড়ব, কোন দেশ থেকে ফার্নিচার আনব। কত বড় স্যান্ডেলিয়ার (ঝাড়বাতি) লাগাব, ওই সব চিন্তা করি না। বরং স্যান্ডেলিয়ার সরিয়ে দিয়েছি। গণভবনে বোধ হয় একটা ‍দুটো আছে। বাকি সব সরিয়ে দিয়েছি। চেয়ারও বদলে দিয়েছি।’

/ইএইচএস/ এমএনএইচ/