ইউনিপেক ও ভিটল’র কাছ থেকে তেল জাতীয় পণ্য কিনবে বাংলাদেশ

রয়টার্সের খবরবাংলাদেশে তেলজাতীয় পণ্য সরবরাহের দরপত্র পেয়েছে ইউনিপেক ও ভিটল কোম্পানি। বুধবার বিষয়টির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত এমন দুই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) চলতি বছর মে মাসে ১০ লাখ ৬০ হাজার টন গ্যাসওয়েল, জেট ফুয়েল ও ফুয়েলওয়েল কেনার জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে। ২০১৭ সালের শেষ ছয় মাসের জন্য এসব তেলজাতীয় পণ্য সরবরাহ করার কথা।

এক কর্মকর্তা বলেন, দরপত্রে সবচেয়ে কম দাম প্রস্তাব করায় ইউনিপেক ও ভিটল সরবরাহের দায়িত্ব পাচ্ছে। তিনি জানান, ১১টি কোম্পানি দরপত্র জমা দিয়েছিল।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, চীনের সবচেয়ে বড় তেল কোম্পানি সিনোপ্যাক-এর বাণিজ্যিক শাখা ইউনিপ্যাক। প্রতিষ্ঠানটি প্রতি ব্যারেল গ্যাসওয়েল ২.২৭ থেকে ২.৪৭ মার্কিন ডলারে (প্রিমিয়াম) বাংলাদেশে সরবরাহের দর প্রস্তাব করেছে। অন্য কোম্পানিগুলোর প্রস্তাব ছিল ২.৪৭ থেকে ৪.৬৫ মার্কিন ডলার। আর প্রতি ব্যারেল জেট ফুয়েল ২.৮৭ ডলারে বিক্রি করতে চায় ইউনিপ্যাক।

তেলজাতীয় এসব পণ্য কেনার চুক্তির পাশাপাশি বিপিসি দশটি কোম্পানির সঙ্গে পরিশোধিত তেল জাতীয় পণ্য আমদানির চুক্তির শর্ত চূড়ান্ত করেছে। ২০১৭ সালের দ্বিতীয়ার্ধের জন্য এসব চুক্তি করা হচ্ছে। জুলাই-ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ গ্যাসওয়েল কিনতে পারে প্রতি ব্যারেল ২.২০ ডলার মূল্যে। জেট ফুয়েলের ক্ষেত্রে বিপিসি মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছিল প্রতি ব্যারেল ২.৮০ ডলারে।

ফুয়েল ওয়েলের ক্ষেত্রে ভিটল সর্বনিম্ন দর প্রস্তাব করেছে। কোম্পানিটি প্রতি টন ফুয়েল ওয়েল ২৯.৭৩ ডলারে বাংলাদেশের কাছে বিক্রি করতে চায়। জুন-ডিসেম্বরে এ ফুয়েল ওয়েল সরবরাহ করবে ভিটল। দরপত্রে অন্যান্য কোম্পানির দর ছিল ৪১.২২ থেকে ৬৭.৮০ ডলার প্রতি ব্যারেল।

দরপত্র জমাদানকারী অন্যান্য কোম্পানির মধ্যে রয়েছে ট্রাফিগুরা, গ্লেনকোর, এমিরেটস ন্যাশনাল ওয়েল কোম্পানি, সিনোচেম, পিটিটি পিসিএল, গাল্ফ পেট্রোলিয়াম ও সুইস সিঙ্গাপুর। সূত্র: রয়টার্স।

/এএ/এমএনএইচ/