মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মো. শফিউল আলম ডিসিদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা জেলার শীর্ষ কর্মকর্তা, কিন্তু প্রভু নন। জনগণের সেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এই সম্মেলনে আপনারা যেসব সমস্যার কথা বলেছেন—সেগুলো পর্যায়ক্রমে সমাধান করা হবে, যা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং সচিবরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’
তিন দিনের সম্মেলন শেষে সরকারের পক্ষ থেকে কী বার্তা নিয়ে যাচ্ছেন জানতে চাইলে একাধিক বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকরা বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন, সব কিছুর ঊর্ধ্বে থেকে দায়িত্ব পালন করবো। কোনও রাজনৈতিক দলের চাপে কিংবা অনুগত হয়ে নয়, প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারী হিসেবে নিজ জেলায় দায়িত্ব পালন করবো। এক্ষেত্রে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা দেবে এমন আশ্বাস পেয়েছি।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিন দিনের সম্মেলন উদ্বোধন করেন। তিনি জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশে ২৩টি নির্দেশনা দেন।
দ্বিতীয় দিন বুধবার (২৬ জুলাই) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকরা। এসময় রাষ্ট্রপতি সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সরকারি দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন। এর আগে সকাল ৯টায় সচিবালয়ের মন্ত্রী পরিষদ সভাকক্ষে দ্বিতীয় দিনের অধিবেশন শুরু হয়।
তিন দিনের সম্মেলনে মোট ২২টি অধিবেশনে ৫৭টি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী এবং উপদেষ্টারা পৃথক পৃথকভাবে দিক-নির্দেশনা দেন। এসময় মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে তাদের দায়িত্ব পালনকালের সুবিধা-অসুবিধা এবং প্রয়োজনীয়তার কথা শোনেন এবং সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন।
/এসআই/এনআই/এপিএইচ/
আরও পড়ুন:
ডিসিদের ২৩টি নির্দেশনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী
ডিসিদের চাহিদা অনুযায়ী পুলিশ এবং আনসার দেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী