বঙ্গবন্ধুকে যে অস্বীকার করে সে কি স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা যে স্বীকার করে না সে বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে কিনা তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে।’ বৃহস্পতিবার বিকালে গণভবনে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী (ছবি: ফোকাস বাংলা)২৫ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতারের কথা মনে করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘পাকিস্তান সরকার প্রহসনমূলক বিচার করে তার (শেখ মুজিবুর রহমানে) ফাঁসির রায়ে পর্যন্ত সই করে দিয়েছিলেন। কই ইয়াহিয়া তো জিয়াকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেনি। তার কথাও বলেননি। তিনি শুধু একজনের কথা বলেছিলেন। সেটা হলো শেখ মুজিবুর রহমান। সেসময় বঙ্গবন্ধুকে দোষারোপ করে পাকিস্তানের শত্রু হিসাবে ঘোষণা করেছিল ইয়াহিয়া। কাজেই এই সত্যটা যে উপলব্ধি করতে পারবে না; সে আদৌ বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে কিনা, আমার সন্দেহ আছে।’

পরে শেখ হাসিনা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা এই দেশের মাটির সন্তান। আপনারা আপনাদের মর্যাদা নিয়ে এই দেশে থাকবেন। উৎসবমুখর পরিবেশে উৎসব পালন করবেন। আমি সংখ্যালঘু বলতে রাজি না। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্ট্রান আর মুসলমান সবাই সমান অধিকার নিয়ে থাকবে।’

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীকে বাতিল ঘোষণা করে রায়ের পর্যালোচনায় প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা কোনো একক ব্যক্তির কারণে হয় নাই।

গণভবনে অনুষ্ঠিত এ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার বলেন, ‘জননেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা না হলে, এস কে সিনহাও প্রধান বিচারপতি হতেন না। বাংলাদেশের সনাতনি সমাজ তার (এস কে সিনহা) তার সঙ্গে নেই।’ ষোড়শ সংশোধনীর রায় নিয়ে প্রধান বিচারপতি রাজনীতি করেছেন, বলেও মন্তব্য করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।

রায়ের পর্যালোচনায় প্রধান বিচারপতির বলা ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা কোনও একক ব্যক্তির কারণে হয় নাই’ এই বাক্যটি উল্লেখ করে বীরেন শিকদার বলেন, ‘পৃথিবীর মানুষ জানে যে, কার জন্য এই ভূখণ্ডের জন্ম। যে কথা ড. কামাল হোসেন আর ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সে কথা রায়ে কী ভাবে আসে?’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জয়ন্ত সেন দীপু, জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি দেবাশীষ পালিত, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি ডি এল চ্যাটার্জি, জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি রমেশ ঘোষ এবং জন্মাষ্ঠমী উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক চন্দন তালুকদার।

/পিএইচসি/এমও/