চলতি বছরেই বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা কোস্টাল শিপিং চুক্তি

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কাপশ্চিমা দেশগুলোতে বাণিজ্যিক পণ্য পাঠানোর জন্য শ্রীলঙ্কার বন্দর ব্যবহার করার মাত্রা বাড়ছে। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমা বিশ্বে যে পরিমাণ পণ্য জাহাজে পাঠানো হয়, তার প্রায় ২০ শতাংশই শ্রীলঙ্কার বন্দরগুলোর মাধ্যমে যায়। বিষয়টি বিবেচনায় রেখে  বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা একটি কোস্টাল শিপিং চুক্তির বিষয়ে একমত হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এ বছরের মধ্যে এ চুক্তিটি স্বাক্ষর করা হবে। শ্রীলঙ্কায় নিযুক্তি বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহ বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত।

রিয়াজ হামিদুল্লাহ আরও বলেন, ‘কলম্বোর লক্ষ্য হচ্ছে,এটি হবে ভারত মহাসাগরের লজিস্টিক ও ট্রান্সশিপমেন্ট কেন্দ্রবিন্দু (হাব)। এ জন্য কাজ চলছে।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ বা আমেরিকায় পণ্য পাঠানোর জন্য বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা সিঙ্গাপুর বন্দর ব্যবহার করার পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার বন্দর ব্যবহার করছে।’

বন্দর ব্যবহারের মাত্রা বাড়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সময় ও অর্থ সাশ্রয়ের কারণে শ্রীলঙ্কার বন্দর ব্যবহার করা হচ্ছে।’

গত মাসে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট এম সিরিসেনার ঢাকা সফরের সময়ে এ বিষয়ে আলোচনা হয় এবং দ্রুত এই চুক্তি সম্পাদন করার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শ্রীলঙ্কার কলম্বো বন্দর, হাম্বানতোতা গভীর সুমদ্র বন্দর, গল বন্দর ও ত্রিনকোমালির বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডেলিং ক্ষমতা ৩৫ মিলিয়ন টিইইউ করার কাজ চলছে। এর মধ্যে বর্তমানে কলম্বো বন্দরের সক্ষমতা ১৪ মিলিয়ন টিইইউ। এর বিপরীতে বাংলাদেশের চিটাগাং বন্দরের সক্ষমতা ২.৫ মিলিয়ন টিইইউ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যবসায়িক সংগঠন এফবিসিসিআই-এর সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের প্রথম অগ্রাধিকার হচ্ছে ঠিক সময়মতো পণ্য পৌঁছানো এবং এই কাজটি ব্যবসায়ীরা ফ্রেইট ফরোয়ার্ডারদের মাধ্যমে করে থাকে।’

/এমএনএইচ/