X
বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪
২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

জনবল ও অর্থসংকটে ধুঁকছে দেশের প্রথম কৃষি কল সেন্টার

সালমান তারেক শাকিল
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ২০:০০আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:০৩

জনবল ও আর্থিক সংকটের কারণে উপযুক্ত সেবা দিতে পারছে না দেশের প্রথম কৃষিভিত্তিক কল সেন্টার। কৃষকদের তাৎক্ষণিক সমস্যার সমাধান এবং সবার মাঝে কৃষিভিত্তিক সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, সেবা এবং তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে ২০১২ সালের জুনে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালনায় ‘কৃষি কল সেন্টার-১৬১২৩’-এর পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে এই কল সেন্টারে ‘ধার করা’ সাত জন কর্মী রয়েছেন। তাদের মধ্যে দুজন ফাউন্ডেশন ট্রেনিংয়ে রয়েছেন, একজন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে। কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান, উপযুক্ত জনবল ও আর্থিক সংকটের কারণে কৃষকদের পর্যাপ্ত সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

সরেজমিন দেখা গেছে, রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষি তথ্য সার্ভিস কার্যালয়ের স্থাপিত কল সেন্টারটি ১৩ ফুট বাই ২০ ফুটের ছোট্ট একটি কক্ষ থেকে পরিচালিত হচ্ছে। সেখানে কাজ করছেন কয়েকজন কর্মকর্তা—যাদের কেউ কেউ ‘অ্যাটাচমেন্টে’ এসেছেন, আবার কোনও কোনও কর্মকর্তাকে হয়তো জরুরি কাজের জন্য সেন্টারে ডাকা হয়েছে।

২০১২ সালে টেলিটকের একটি লং নম্বরে যোগাযোগ করতেন কৃষকেরা। পরবর্তী সময়ে ২০১৪ সালে এটুআইয়ের সহযোগিতায় এসে শর্ট কোড (১৬১২৩) করে কৃষি তথ্য সার্ভিস। 

কৃষি কল সেন্টার সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন অন্তত ১৮০ থেকে ২০০টি পর্যন্ত কল আসে সেন্টারে। অনেক সময় কৃষকের প্রশ্নের উত্তর তাৎক্ষণিক দেওয়ার সুযোগ হয় না। এ জন্য কল সেন্টার থেকে দুটো ভাগে সেবা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হয়। একটি হচ্ছে, ‘ইনকামিং’, যা কৃষকরা করেন এবং সঙ্গে সঙ্গে সেবা দেওয়া হয়। দ্বিতীয়টি হচ্ছে, সেবাগ্রহীতার কল আসার পর সেবা দেওয়া সময়সাপেক্ষ হলে সেন্টার থেকে কল ব্যাক করা হয়, যাকে ‘আউটগোয়িং’ সেবা হিসেবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে।

কৃষি কল সেন্টারে কর্মরত একজন কর্মকর্তা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল কৃষি কল সেন্টার

কৃষি কল সেন্টার নিয়ে বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলেন কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক ড. সুরজিত সাহা রায়। তিনি বলেন, ‘প্রথমে কৃষি তথ্য সার্ভিসের লোকজন দিয়েই কল সেন্টারের কাজ শুরু হয়। এরপর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর (ডিএই) থেকে অ্যাটাচমেন্টে কিছু লোক নেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে একটি এনজিও (প্র্যাক্টিক্যাল অ্যাকশন) কিছু লোকবল ও আর্থিক সহযোগিতা দেয়। তারা আমাদের ভালোই সহযোগিতা করেছে।’

‘পরে কল সেন্টারটি শক্তিশালী করার একটি প্রকল্প আসে। সে প্রকল্প থেকে ডেপুটেশনে ক্যাডারের ছয় জন এখানে জয়েন করেন। তখন দুই শিফট হয়, সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। সে সময় কৃষকদের প্রচুর সেবা দিতে পারতাম আমরা। কয়েক বছরের বেশি সময় ধরে প্র্যাক্টিক্যাল অ্যাকশনের সহযোগিতা বন্ধ হয়ে যায়। ফান্ড বন্ধ হয়ে যায়। ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত এভাবে চলছিল। এরপর আমাদের কল সেন্টার প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়’—বলেন ড. সুরজিত সাহা।

সুরজিত সাহা রায় উল্লেখ করেন, ‘পরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় কিছু কর্মকর্তা ধাপে ধাপে এনে কল সেন্টারের কার্যক্রম অব্যাহত রাখি। এখনও চলছে। অফিস টাইমে চলছে—সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। পরবর্তীকালে টার্গেট অ্যাচিভ করার জন্য শনিবার দিনও আমরা সেন্টারটি খোলা রাখি।’

‘‘একইসঙ্গে আগে ‘আউটগোয়িং কল’ ছিল না, যেটা আমরা যুক্ত করেছি।  অনেক সময় কৃষকেরা কল করেন, কিন্তু তাৎক্ষণিক সেবা দেওয়া যায়নি। সেই নম্বরে আমরা যোগাযোগ করি, এভাবেই এখন চলছে’’—যোগ করেন কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে খামারবাড়িতে নিজ কার্যালয়ে বসে বাংলা ট্রিবিউনকে সুরজিত সাহা রায় জানান, যেসব কর্মকর্তা এখন কল সেন্টারে কাজ করছেন, তারা প্রত্যেকেই ডিএই’র (কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর) জনবল। অ্যাটাচমেন্টে এখানে এসেছেন। তাদের পোস্টিং অন্যত্র, কিন্তু তারা কাজ করছেন। এই মুহূর্তে চার জন কর্মরত আছেন। বাকি তিন জনের মধ্যে একজন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে আছেন, দুজন গেছেন ফাউন্ডেশন ট্রেনিংয়ের জন্য। এখন চার জন সেবা দিচ্ছেন। দুই শতাধিক কল রিসিভ করতে পারছেন। সাত জন হলে তিন শতাধিক কল রিসিভ করতে পারেন।’

কৃষি কল সেন্টার থেকে এভাবেই কৃষকদের তথ্য দেওয়া হয় কী প্রশ্ন করা হয়, কী সমাধান দেওয়া হয়, কত মিনিট কথা বলা হয়, মিস কল হলো কিনা, সবই রেকর্ড করা হয় বলে জানান সুরজিত সাহা।

কল সেন্টার সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সাল থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ১ লাখ ২৬ হাজার ৭০ কলারকে সেবা দেওয়া হয়েছে। অন্তত ৯৬ হাজার ৭৮১টি নম্বরে সেবা দেওয়া যায়নি। এই সেবা না দেওয়ার কারণ হিসেবে কর্মকর্তাদের ভাষ্য—এই কলগুলো হয়তো ‘অফিস সময়ের পরে এসে এসেছে’, যা অনেক ক্ষেত্রে ব্যাক করা সম্ভব হয়নি।

কৃষি তথ্য সার্ভিস থেকে জানানো হয়েছে, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে কল সেন্টারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে  ৪০ হাজার ৪০০টি। গত বছরের জুন থেকে চলতি এপ্রিল পর্যন্ত ৩০ হাজার ৪২টি কল রিসিভ করা হয়েছে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি। 

প্রতিষ্ঠানের টেকনিক্যাল পার্টিসিপেন্ট ও আইসিটি ইনচার্জ বাদল চন্দ্র সরকার এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্যমাত্রা বেশি, কিন্তু জনবল কম। চলতি অর্থবছরে আমরা ৭৪ শতাংশ অ্যাচিভ করেছি লক্ষ্যমাত্রার। এখন ‘আউটগোয়িং’ ও ‘ইনকামিং’-এ মনোযোগ দিয়েছি। মনিটরিং বাড়ানো হয়েছে। আশা করি সেবার মান ধীরে ধীরে আরও উন্নত হবে।’

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে কৃষি কল সেন্টারে যোগাযোগ করেছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার দানাজপুর গ্রামের কৃষক মো. বেলাল। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমি ফোন করেছিলাম কল সেন্টারে। ধানক্ষেতের সমস্যা নিয়ে জানতে ফোন করেছিলাম—ধান ফেটে সাদা তরল বের হয়েছিল। আমার সমস্যা শুনে কল সেন্টার থেকে সমাধান দেওয়া হয়েছে। আশা করি ফলাফল পাবো।’

নতুন সমস্যায় পুরনো সমাধান, ট্রেনিংয়ের দাবি কর্মীদের

কল সেন্টারে কথা হয় কৃষি কর্মকর্তা ফারহানা ইয়াসমিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘কৃষকরা সাধারণত উদ্ভিদের বিভিন্ন রোগ, পোকামাকড়ের আক্রমণ, সার ব্যবস্থাপনা নিয়ে জানতে চেয়ে ফোন করেন। কখনও দুই মিনিট, কখনও পাঁচ মিনিট কথা বলেন। এতটা সমস্যা হয় না, আমরা সমাধান বলে দেই। তবে জটিলতা হলে আমরা পরামর্শ দেই আশপাশের কৃষি কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে।’

যে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে, তা কি পূরণ করার সুযোগ আছে? এমন প্রশ্নের জবাবে ফারহানার ভাষ্য, ‘আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। বর্তমানে আমরা চার জন কাজ করছি। বাকি তিন জন ট্রেনিং ও ছুটিতে আছেন।’

কৃষি কল সেন্টার কল সেন্টারের সেবার মান ও অগ্রগতি কীভাবে সম্ভব, জানতে চাইলে  ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, ‘আমাদের কোনও প্রশিক্ষণ হচ্ছে না। কোনও প্রশিক্ষণ পাচ্ছি না। নতুন ধরনের প্রযুক্তি এসেছে, নতুন ধরনের পরামর্শ এসেছে। সে সম্পর্কে কিন্তু আমরা নতুন সমাধান জানতে পারছি না। পুরনো সমাধান দিতে হচ্ছে।’

‘মাঠপর্যায় থেকে কৃষকেরা নতুন নতুন সমস্যার কথা জানান, কিন্তু আমরা এর নবতর সমাধান দিতে পারছি না। নতুন রোগ বা নতুন পোকামাকড় সম্পর্কে তারা যখন জানতে চান, তখন আমাদের ট্রেনিং না থাকার কারণে আমরা অনলাইনে সমাধান খুঁজে বের করে তারপর জানাই। এ জন্য আমাদের পর্যাপ্ত ট্রেনিং প্রয়োজন’, বলেন কৃষি কর্মকর্তা ফারহানা ইয়াসমিন।

কর্মীদের এই মনোভাব ও আকাঙ্ক্ষা নিয়ে কল সেন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তথ্য অফিসার ড. আকলিমা খাতুন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কল সেন্টারের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে শনিবারও কিন্তু অফিস খোলা রাখতে হচ্ছে। আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, বাইরের কোনও সহযোগিতা পাচ্ছি না।’

কর্মীদের ট্রেনিংয়ের বিষয়ে ড. আকলিমা খাতুনের ভাষ্য, ‘আমরা যদি কোনও এনজিও’র সঙ্গে বা সরকার যদি ফান্ড দেয়, অথবা যদি আমরা প্রজেক্ট পাই—যে প্রজেক্ট এরইমধ্যে জমা দেওয়া হয়েছে, সেটি পেয়ে গেলে আমরা কর্মীদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতে পারবো। বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে আমরা লিংক-আপ করতে পারি। কর্মীদের কিছু সহযোগিতার বিষয় আছে, সেগুলো যদি সম্পন্ন করা যায়— তাহলে আশা করি এসব সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবো।’

প্রচারপত্রে বিনামূল্যে থাকলেও কলপ্রতি ২৫ পয়সা খরচ হয় কৃষকের

কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রচারপত্রে ‘কৃষি কল সেন্টার-১৬১২৩’ নম্বরটিতে যেকোনও অপারেটর থেকে ‘বিনামূল্যে’ কল করার কথা প্রচার করা হচ্ছে। বিগত বেশ কয়েক বছরের প্রচারপত্রে এ বিষয়টি ধরা পড়ে। যদিও কৃষি কল সেন্টারে ফোন করা হলে প্রতি মিনিটের জন্য ২৫ পয়সা করে কৃষকের ব্যয় হয়। 

কৃষি তথ্য সার্ভিসের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, কৃষি কল সেন্টারের শর্ট কোড ১৬১২৩ নম্বরে যেকোনও অপারেটরের মোবাইল ফোন থেকে প্রতি মিনিটে ২৫ পয়সা হারে (ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক ব্যতীত) কল করে কৃষকরা কৃষির বিষয়ে যেকোনও সমস্যার তাৎক্ষণিক বিশেষজ্ঞ পরামর্শ পাচ্ছেন।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, কৃষি কল সেন্টারে প্রতিকলে কৃষকের ২৫ পয়সা কাটা হয়। এক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের প্রচারপত্রে মুদ্রণজনিত ত্রুটি রয়ে যেতে পারে।

কৃষি কল সেন্টার

কৃষি কল সেন্টার ১৬১২৩: হটলাইন করার আলোচনা

কৃষি কল সেন্টারকে আরও আধুনিক, নতুন ও কৃষকের আরও উপযোগী করতে পরিকল্পনা করছেন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ড. সুরজিত সাহা রায়। তিনি বলেন, ‘কৃষকের প্রয়োজন তো অফিস টাইম ধরে হয় না। যখনই তার সমস্যা হয়, তখনই সেবা প্রয়োজন। আর তাই আমরা প্রয়োজন অনুযায়ী যেন কৃষকের সেবা দিতে পারি, সেজন্য আমরা একটি কর্মসূচি জমা দিয়েছি।’

কর্মসূচি সম্পর্কে সুরজিত সাহা উল্লেখ করেন, ‘এটি হচ্ছে মেশিনের মাধ্যমে করা। কোনও কৃষক যদি কল করেন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সের মাধ্যমে সে কলটি টেক্সটে কনভার্ট হয়ে আমাদের সংরক্ষিত ডাটা কালেকশন থেকে তথ্য সংগ্রহ করে ভয়েস আকারে কৃষকের কাছে পৌঁছে দেবে। এই কর্মসূচি যদি বাস্তবায়ন করা যায়, তাহলে ২৪ ঘণ্টা আমরা কৃষকের জন্য সেবা দিতে সক্ষম হবো। পাশাপাশি কল সেন্টারও ব্যাকআপ হিসেবে থাকবে।’

কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক বলেন, ‘দ্বিতীয় আরেকটি চিন্তা রয়েছে—আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যেমন ৯৯৯ নম্বর হটলাইন রয়েছে, তেমনই আমাদের ১৬১২৩ নম্বরটিকেও হটলাইনে পরিণত করা। আজকেই একটি টেলিকম কোম্পানির সঙ্গে আমাদের আলোচনা হবে।’

ড. সুরজিত সাহা এ বিষয়ে ব্যাখ্যা করেন, ‘আমাদের নম্বরটিতে (১৬১২৩) কল করলে কেবল ঢাকা থেকেই রেসপন্ডস করা সম্ভব হচ্ছে। যারা এই সেন্টারে কাজ করছেন, তাদের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। আঞ্চলিক ভাষা ও জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা আছে। অনেক আঞ্চলিক শব্দ আছে, ভাষার অনেক ভিন্নতা আছে। এ কারণে যদি এলাকাভিত্তিক হয় তাহলে ভালো হয়। আমরা এটা নিয়ে কথা বলবো। এটি সম্ভব হলে কৃষক যখনই ১৬১২৩ নম্বরে কল করবেন, তার নিকটবর্তী অফিসার রিসিভ করে কথা বলবেন, সমাধান দেবেন। এটা সফল হতে পারলে তথ্যসেবা ভালো দিতে পারবো।’

সরকারি যত কল সেন্টার

জাতীয় তথ্য বাতায়ন থেকে জানা যায়, দেশে সরকারিভাবে অন্তত ২৩-২৪টি কল সেন্টার চালু রয়েছে। এগুলো হচ্ছে—ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস- ৯৯৯, ৩৩৩; কৃষি কল সেন্টার (১৬১২৩), প্রবাসীদের জন্য কল সেন্টার (১৬১৩৫ (টোল ফ্রি )+৮৮০৯৬১০১০২০৩০ (বিদেশ থেকে); জাতীয় মহিলা সংস্থার তথ্য আপাকে জিজ্ঞাসা: ডায়াল ১০৯২২; হটলাইন (প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়); কল সেন্টার (তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি) ১৬৪৯৬; নারী ও শিশু নির্যাতন অথবা পাচারের ঘটনা প্রতিরোধে কল সেন্টার-১০৯; ১৬২৬৩ নম্বর-অ্যাম্বুলেন্স; ৩৩৩১ কৃষক বন্ধু ফোন সেবা; বিটিসিএল কল সেন্টার ১৬৪০২।

সরকারি বিভিন্ন কল সেন্টারের অ্যাপ এছাড়াও রয়েছে সরকারি আইনগত সহায়তায় জাতীয় হেল্প লাইন ১৬৪৩০; তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড হটলাইন ১৬১২৩; বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (বিজিডিসিএল) হটলাইন ১৬৫২৩; জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড (জেজিটিডএসএল) হটলাইন ১৬৫১১; পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (পিজি সিএল) হটলাইন ১৬৫১৪; কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল) হটলাইন ১৬৫১২; সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (এসজিসিএল) হটলাইন ১৬৫৩৯; বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রাহক অভিযোগ হটলাইন ১৬২৩৬; জাতীয় মানবাধিকার কমিশন হেল্পলাইন নম্বর ডায়াল ১৬১০৮;  দুর্নীতি দমন কমিশন হেল্পলাইন নম্বর ডায়াল: ১০৬ ও সুখী পরিবার কল সেন্টার ১৬৭৬৭।

ছবি: সাজ্জাদ হোসেন ও সালমান তারেক শাকিল

/এপিএইচ/এমওএফ/
সম্পর্কিত
যাত্রীদের অভিযোগ শুনতে কল সেন্টার চালু করলো বিমান
সফটওয়্যার রফতানির পালে হাওয়া, বেকায়দায় কলসেন্টার খাত
সর্বশেষ খবর
৩০০ ফুট সড়কে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে ‘ওভার স্পিড’ মামলা
৩০০ ফুট সড়কে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে ‘ওভার স্পিড’ মামলা
৪৪৮ হজযাত্রীর ভিসা হয়নি, এজেন্সির মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চিঠি
৪৪৮ হজযাত্রীর ভিসা হয়নি, এজেন্সির মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চিঠি
‘গাঁজা সেবনে’ বাধা দেওয়ায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষ, আহত ৩
‘গাঁজা সেবনে’ বাধা দেওয়ায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষ, আহত ৩
ব্রিটেনে এক পাউন্ডে ১৫০ টাকা, আবার দরপতন
ব্রিটেনে এক পাউন্ডে ১৫০ টাকা, আবার দরপতন
সর্বাধিক পঠিত
ফুল দিয়ে বরণ, রিট দিয়ে শুরু কোন্দল!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিফুল দিয়ে বরণ, রিট দিয়ে শুরু কোন্দল!
সিলেটে বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
সিলেটে বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
রাজশাহীতে গুটি আম পাড়া শুরু, কেজি ৪০ টাকা
রাজশাহীতে গুটি আম পাড়া শুরু, কেজি ৪০ টাকা
এডিপি: সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাচ্ছে যে ১০ প্রকল্প
এডিপি: সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাচ্ছে যে ১০ প্রকল্প
৬১৭ কোটি টাকার প্রকল্প, সাড়ে তিন বছরে হলো ১৩ শতাংশ কাজ
৬১৭ কোটি টাকার প্রকল্প, সাড়ে তিন বছরে হলো ১৩ শতাংশ কাজ