সরকারি হিসাব বলছে, দেশের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের এক-তৃতীয়াংশই ক্ষতিগ্রস্ত। তবে মাঠ পর্যায়ের মানুষের চোখে এসব বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও বেশি। আজ বৃহস্পতিবার সংসদীয় কমিটির বৈঠকে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে সারাদেশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) আওতাধীন ১৯শ’ কিলোমিটার বাঁধের এক-তৃতীয়াংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কমিটির সভাপতি রমেশ চন্দ্র সেনের সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে অংশ নেন কমিটির সদস্য ও পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এবং অনুপম শাহজাহান জয়।
কমিটি বাঁধের খোঁজ নিতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের ১৯শ’ কিলোমিটার বাঁধের এক-তৃতীয়াংশ এবারের বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসময় দেশের বিভিন্ন স্থানে কোন বাঁধ কী অবস্থায় আছে, কোন বাঁধের ওপর স্থায়ী বসতি তৈরি হয়েছে, তার একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পরবর্তী বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়।
ওই বৈঠকে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন ড্রেজার পরিদফতরের কার্যক্রমকে ঢেলে সাজানোর অংশ হিসেবে প্রশিক্ষণ দেওয়ার সুপারিশ করে সংসদীয় কমিটি।
বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিটি নদীতে পানির প্রবাহ চলমান রাখার জন্য ড্রেজিং মাস্টার প্ল্যানের আওতায় একটি গাইড লাইন প্রণয়নের সুপারিশ করা হয়।
আরও পড়ুন-
নওগাঁয় বন্যার পানি ডুবে কৃষকের মৃত্যু
বসতভিটায় পানি, ডিমলার ৩৩ পরিবার এখনও বাঁধে
/ইএইচএস/টিএন/