‘ভারত থেকে বন্যার পানির সঙ্গে গরু ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে’

বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম (ছবি:সংগৃহীত)‘আগে ভারত থেকে গরু আনতে পাঁচ-ছয় হাজার টাকা খরচ হতো। এখন আনতে ৩০-৩৫ হাজার টাকা লাগে। তারপরও ভারত থেকে অবাধে গরু আসছে। কোনও সীমানা টিমানা নাই। বন্যার পানির সঙ্গে গরু ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ভারত বাংলাদেশে প্যাকেটজাত হিমায়িত মাংস রফতানির কথা চিন্তা করছে। যদি গরু আসা অব্যাহত থাকে, প্যাকেট মাংসও আসে তাহলে দেশের খামারিরা মাঠে মারা যাবে।’ শুক্রবার (১৮ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রবিউল আলম আরও বলেন, ‘আমাদের পরামর্শ, অন্তত একটা বছর ভারত থেকে গরু ও মাংস আসা ঠেকান। তাহলে আমাদের দেশ গবাদিপশুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে।’গরু পাচার

তিনি বলেন, ‘এবছর কোরবানিতে যে পরিমাণ পশু লাগবে তা আমাদের আছে। ভারত থেকে গরু আনা লাগবে না। দেশে এক কোটি ১৫ লাখ ৫৭ হাজার পশু মজুদ আছে।’

গরুর হাটে পশুপ্রতি খাজনা ১০০ টাকা নির্ধারণের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গরুর হাটের খাজনা নামমাত্র মূল্য ১০০ টাকা নির্ধারণ করুন। পাঁচ-ছয় হাজার টাকা খাজনা দিয়ে গরু কিনে এনে পশুপালনে উন্নয়ন সম্ভব না, অবাস্তব।’

পশুপালন খাতে ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পশুপালন উন্নয়নে লোন আনতে গেলে ব্যাংক কর্মকর্তারা পার্সেন্টিজ চায়। এগুলো বাদ দিতে হবে। পার্সেন্টিজ দিয়ে পশুপালনের উন্নয়ন হবে না।’

/এসআই/এফএস/

আরও পড়ুন- ‘হাটের খাজনা ১০০ টাকা হলে সারাবছর আড়াইশ টাকায় গরুর মাংস’