গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ২০০০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় আজ রবিবার (২০ আগস্ট) ১০ জনকে সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছেন আদালত। রায়ে আদালত বলেছেন, হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন সাপেক্ষে তাদের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত গুলি করে প্রত্যেকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হোক। রবিবার বেলা ১১টার দিকে এ রায় দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মমতাজ বেগম।
মামলার আইনজীবী সৈয়দ শামসুল হক বাদল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ সালের ৩৪ (ক) অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ড কার্যকরী করণ ধারাটিতেই সমাধান দেওয়া আছে। আইনে বলা আছে,কোন ব্যক্তি এই আইন অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হইলে বিশেষ ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ মোতাবেক তাহাকে ফাঁসি দিয়া কিংবা নির্ধোরিত পদ্ধতি মোতাবেক গুলি করিয়া দণ্ড কার্যকরী করা হবে।’
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আইনজীবী শাহেদুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রচলিত আইনে এ ধরনের কোনও বিধান নেই। মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে ফায়ারিং স্কোয়াডের যে নির্দেশ দেওয়া হয় সেটি বিচারক কখনও কখনও দিয়ে থাকেন। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায়েও এই বিধান দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটি কার্যকর হয়নি।’
কোটালীপাড়ার একটি কলেজের কাছে ২০০০ সালের ২০ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা মঞ্চের নির্ধারিত স্থানে ৭৬ ও ৮০ কেজি ওজনের দুটি বোমা পাওয়ার পর এই মামলা করে পুলিশ।
রবিবারের রায়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নয় উল্লেখ করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ শামসুল হক বাদল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা ‘আংশিক সন্তুষ্ট’। রায়ের কপি পাওয়ার পর আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’
প্রসঙ্গত, বিশ্বের ৫০টি দেশে এখনও ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিধান আছে।
/ইউআই/এসটি/