বিমান সূত্র জানায়, হজ পরিচালনার জন্য ২০৩টি ফ্লাইটের মধ্যে ১৪২টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে বিমান। বাতিল হয়েছে ২৪টি হজ ফ্লাইট। বাকি রয়েছে ৩৭টি হজ ফ্লাইট। এই ৩৭টি হজ ফ্লাইটে ১৪ হাজার ৪২জন হজ যাত্রী পরিবহন করতে পারবে বিমান। বিমানের পরিচালিত ১৪২টি ফ্লাইটে ৪৭ হাজার ৭৯৫ জন যাত্রী সৌদি আরবে গিয়েছেন। ২৬ আগস্টের মধ্যে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন পাওয়া ২টি ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারলে যেতে পারবেন আরও ৮৩৮ জন হজযাত্রী। বাতিল হওয়া ২৪টি হজ ফ্লাইটের যাত্রীসহ বিভিন্ন কারণে ১৪ হাজার ৭৬৩ জন হজ যাত্রী বিমানে যেতে পারেননি।
এ বছর ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮জন হজে যাওয়ার জন্য নিবন্ধন সম্পন্ন করেছিলেন। মঙ্গলবার সকাল ৯ টা পর্যন্ত সৌদি আরব গিয়েছেন ৯৪ হাজার ৪১০জন হজযাত্রী। ৯৯৩ জন হজযাত্রীর ভিসার আবেদন জমা দেয়নি হজ এজন্সিগুলো। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২২ আগস্ট থেকে ২৬ আগস্ট ৩৮টি হজফ্লাইট পরিচালনা করবে। যদিও ২৮ তারিখ পর্যন্ত ফ্লাইট পরিচালনার জন্য সৌদি আরবের কাছে আবেদন করলেও অনুমতি পায়নি বিমান। ২৬ আগস্ট পর্যন্ত ফ্লাইট পরিচালনা করলে বিমানের পক্ষে দেড় হাজার হজযাত্রীকে পরবহন করা সম্ভব হবে না।
এ প্রসঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ বলেন, ‘বিমান সাধ্যমতো চেষ্ট করছে সকল হজযাত্রীকে সৌদি আরবে পৌঁছাতে। হজফ্লাইট ঠিক রাখতে নিয়মিত বেশ কিছু ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। সব যাত্রী পরিবহনের জন্য সৌদি আরবের কাছে অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। সে বিষয়ে ইতিবাচক কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে আমরা আশা করছি, আগামীকাল নাগাদ তথ্য পেতে পারি।’