বন্যায় ৬ লাখ ১১ হাজার ১৭০ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত

ছবি: সংগৃহীতদেশের পাঁচটি জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করেছে। এগুলো হলো— শরীয়তপুর, ফরিদপুর, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানাচ্ছে, পদ্মা নদীর পানি কমতে শুরু করা ও বৃষ্টিপাত না হওয়ায় দেশের মধ্যাঞ্চল বলে পরিচিত এসব জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের উত্তরাঞ্চলের সিরাজগঞ্জ, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, বগুড়া, জামালপুরের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলেও জানিয়েছে এই সংস্থা।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) রাত ৮টা পর্যন্ত দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে বন্যাকবলিত হয়েছে ৫০ শতাংশ অর্থাৎ ৩২ জেলা। এসব জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৭৪ লাখ ৮২ হাজার ৬৩৭ জন।
এবারের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলো হলো— ঢাকার বিস্তীর্ণ এলাকাসহ নীলফামারী, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, মাদারীপুর, মুন্সীগঞ্জ, নাটোর, চাঁদপুর, কুমিল্লা, শেরপুর, দিনাজপুর, জামালপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, ময়মনসিংহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজবাড়ী, নওগাঁ, জয়পুরহাট, যশোর, মৌলভীবাজার, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও রাঙামাটি। এসব জেলার বিস্তীর্ণ জনপদ বন্যার কবলে পড়েছে এই দফায়।
বন্যার পানিতে এসব জেলার ১০ হাজার ৫৮৩ হেক্টর ফসলি জমি সম্পূর্ণ এবং ৬ লাখ ৫৮৭ হেক্টর জমি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব জেলার মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত পৌরসভা ৫১টি আর উপজেলার সংখ্যা ২০১টি।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব জি এম আব্দুল কাদের বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, বন্যাকবলিত ৩২ জেলার মধ্যে ২০টি জেলায় এ পর্যন্ত ১৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বসতভিটার সংখ্যা ৬ লাখ ৬২ হাজার ১৫৬টি। এর মধ্যে ৭৫ হাজার ৩৩১টি ঘর সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত। বাকিগুলোর আংশিক ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ন্যাশনাল ডিজিস্টার রেসপন্স কোঅর্ডিনেশন সেন্টার (এনডিআরসিসি)।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত বন্যাকবলিত ৩২ জেলার দুর্গতদের জন্য এ পর্যন্ত ২০ হাজার ৭১৮ মেট্রিক টন চাল, ৫৫ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও ৯ কোটি ৫৯ লাখ ৪০ হাজার নগদ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।