রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে রাশিয়ার সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ

মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনীর নৃশংস নির্যাতনের ফলে উদ্ভূত রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য রাশিয়ার সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ। গতকাল বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী নিউইয়র্কে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লেভরভের সঙ্গে এক বৈঠকে এ সহায়তা কামনা করেন। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন।

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লেভরভের সঙ্গে এ এইচ মাহমুদ আলীপররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা জানান, রোহিঙ্গা সমস্যার দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের পথ খুঁজে বের করার প্রক্রিয়ার সঙ্গে রাশিয়া যেন যুক্ত হয়, ঢাকা এই অনুরোধ করেছে।’ এর উত্তরে রাশিয়া বলেছে, ‘তারা বিষয়টি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল এবং তারা বাংলাদেশের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ রাখবে’, বলেন ওই কর্মকর্তা।

এর আগে, রোহিঙ্গা সংকট একেবারেই মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে জানিয়েছিল রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছিলেন, ‘এটা মাথায় রাখা উচিত সার্বভৌম কোনও দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করলে তা বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে গোলযোগ ডেকে আনতে পারে।’

রাশিয়া ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকউল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত (২০ সেপ্টেম্বর) মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে নৃশংস নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা চার লাখ ২০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, ‘রোহিঙ্গাদের স্রোত এখনই থামবে না। এ সংখ্যা আরও কয়েক লাখ ছাড়াতে পারে।’