দুর্গাপূজার খরচ বাঁচিয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা করা হবে

রোহিঙ্গা শরণার্থীলা আসছেদুর্গাপূজার খরচ বাঁচিয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ। ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে আজ শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনার বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার পাল।

এতে বলা হয়, সারাদেশে ৩০ হাজার ৭৭টি মণ্ডপে পূজা হবে। গতবছর এ সংখ্যা ছিল ২৯ হাজার ৩৯৫টি। গতবারের তুলনায় বেশি ৬৮২টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

নেতারা বলেন, দেশের সার্বিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সব পূজা মণ্ডপকে অধিকতর সতর্ক এবং সংযত থাকার নির্দেশ প্রদান করেছে পূজা উদযাপন পরিষদ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ পুলিশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে পূজা উদযাপন পরিষদ নেতারা।

তারা বলেন, আমরা মনে করি, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষ যদি অসুরের বিরুদ্ধে এক হয়ে দাঁড়ান, অসুরশক্তি নির্মূল কঠিন কিছু নয়। দুর্গাপূজা এই বার্তাই বহন করে। বিজয়া দশমীর পরদিন আশুরা উদযাপিত হওয়ার কথা উল্লেখ করে বক্তব্যে বলা হয়,পরিষদ যথানিয়মে বিজয়া দশমীর দিন শোভাযাত্রা সহকারে প্রতিমা বিসর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যার কথা উল্লেখ করে বলা হয়,বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে এক ভয়াবহ অমানবিক সমস্যার সন্মুখিন হয়েছে। পরিষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, দুর্গাপূজায় উৎসবের খরচ বাঁচিয়ে শরণার্থীদের সহায়তা করা হবে। সারাদেশে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে পূজা কমিটিগুলোকে।

এ ছাড়াও সন্মেলনে শারদীয় দুর্গাপূজায় তিনদিনের ছুটি ঘোষণা,দুর্গোৎসবে বঙ্গভবন, গণভবন,নগরভবন এবং জেলা পর্যায়ে সরকারি ভবনসমূহে আলোকসজ্জা, দেশের সব কারাগারে পুজোর দিনগুলোয় উন্নত খাবার পরিবেশন,ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বাতিল করে হিন্দু ফাউন্ডেশন গঠন, দুর্গা পূজায় স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষাসহ সব নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ রাখা এবং পুজো মণ্ডপে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ও বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হয়। খবর বাসস।