নিয়মিত খাদ্যদ্রব্য পরীক্ষা ও প্রতিবেদন প্রকাশের দাবি পবার

পবা আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকবাজারে পাওয়া খাদ্যদ্রব্য ও পানীয়ের মান নিয়মিত পরীক্ষা ও এসব পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে তৈরি প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশের জন্য নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) পবা আয়োজিত ‘কেমিক্যালযুক্ত ডিমের প্রাদুর্ভাব বিষাক্ত খাদ্য: প্রশ্নবিদ্ধ কর্তৃপক্ষের ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তরা এ দাবি জানান।
সভায় বক্তারা বলেন, খামারে মুরগীকে মাত্রাতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিকসহ রাসায়নিক মিশ্রিত খাওয়ানো হয়। মুরগীর ডিম ও মাংসে এর প্রভাব থাকে। কিন্তু মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর সেই খাবার কী ধরনের প্রভাব ফেলছে, তার পরীক্ষা করা হয় কিনা, তা জানা যায় না। এ অবস্থায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ দায় এড়াতে পারে না। শুধু মুরগি নয়, পুরো খাদ্য ব্যবস্থায় ভেজাল, অস্বাস্থ্যকর ও রাসায়নিকের ব্যবহারে জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি রোধের কাজ করা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব বলে উল্লেখ করেন বক্তারা।
বক্তারা আরও বলেন, বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ৪৫ লাখ মানুষ খাদ্যে বিষক্রিয়ার ফলে বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। কিন্তু এ নিয়ে কারও কোনও মাথাব্যাথা নেই।
এসডিজির গোল ২ ও ৩ মানসম্পন্ন খাদ্যের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, এসডিজির লক্ষ্য অনুযায়ী, খাদ্য নিরাপত্তা ও সুস্বাস্থ্য নিরাপত্তা করতে হলে আমাদের নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে। এসডিজি অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে অসংক্রামক রোগ এক-তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনতে হবে।
বৈঠকে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, গত ২৪ ফ্রেব্রুয়ারি পবার একটি প্রতিনিধি দল কালো দাগযুক্ত ও ক্যামিকেল ডিম সন্দেহে কিছু ডিম নিয়ে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষর কাছে অভিযোগ করতে গেলে সংস্থাটি তা আমলে নেয়নি। নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা হিসেবে তাদের এমন আচরন নিন্দনীয় বলে মন্তব্য করেন বক্তারা।
পবা’র চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে ও এম এ ওয়াহেদের সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম, মুখ্য আলোচক ছিলেন চিকিৎসক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী। আরও আলোচনা করেন নাসফের সাধারণ সম্পাদক মো. তৈয়ব আলী, বিসিএইচআরডির মাহবুল হক, মডার্ন ক্লাবের আবুল হাসনাত, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের আতিক রহমান প্রমুখ।