নির্বাচনকালীন সরকার ও সেনা মোতায়েনের দাবি তরিকতের

বৈঠকের পর তরিকত নেতারা কথা বলছেনসংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোর সমন্বয়ে নির্বাচনকালীন সরকার চায় তরিকত ফেডারেশন। একইসঙ্গে দলটি নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি করেছে। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ব্যক্তি ও দল যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করতে পারে সেজন্য নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়েছে দলটি।

বুধবার (৪ অক্টোবর) ইসির সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে দলটির পক্ষ থেকে ১২ দফা প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারির নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের প্রতিনিধি সংলাপে অংশ নেন। তরিকতসহ ৪০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২১টি দলের সঙ্গে ইসি সংলাপ শেষ করলো।

বুধবার বিকালে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) সঙ্গে ইসির সংলাপসূচি থাকলে দলটি বিশেষ কারণে আসতে পারবে না জানিয়ে পরবর্তীতে ইসির কাছে সময় চেয়েছে।

সংলাপ শেষে নজিবুল বশর বলেন, ‘আমরা সংলাপে ১২টি প্রস্তাবনা দিয়েছি। নির্বাচন কমিশনকে বলেছি, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ব্যক্তি ও দল যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করতে পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। আমরা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনা নিয়োগের কথা বলেছি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি সংবিধানের বাইরে যাওয়া যাবে না, যেটা হবে সংবিধানের মধ্য থেকে হতে হবে। এ সরকারের অধীনে সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দল নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করে এর অধীনে নির্বাচন করতে হবে।’

দলটির ১২টি প্রস্তাবনার মধ্যে রয়েছে, ভোটগ্রহণে ইভিএম পদ্ধতি চালু করা, নির্বাচনি ব্যয় ২৫ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৫০ লাখ করা, নির্বাচনে কালো টাকা ও পেশি শক্তির ব্যবহার রোধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা, সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক মতাদর্শিক দল নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা, তফসিল ঘোষণার ৬০ দিন আগে ভোটার তালিকা ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা, নির্বাচনের সময় কোনও অপশক্তি জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নির্বাচনি পরিবেশ বিঘ্নিত করতে না পারে এবং জনগণের মালামাল ও নিরাপত্তা গ্রহণের জন্য ইসির তত্ত্বাবধানে স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে বিশেষ মনিটরিং সেল গঠন করা, রোহিঙ্গারা যাতে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না হতে পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা ইত্যাদি।

এর আগে ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যম প্রতিনিধির সঙ্গে মতবিনিময় করেছে ইসি। ২৪ আগস্ট থেকে দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় শুরু হয়েছে।