সংসদ ভেঙে ভোট চায় সিপিবি

সিপিবিজাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই সংসদ ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। নির্বাচনে সব প্রার্থী ও ভোটারদের সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনকে এ প্রস্তাব দিয়েছে দলটি।

বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে বামপন্থী রাজনৈতিক দলটি এ প্রস্তাব দেয়। সংলাপ শেষে দলের সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

সংলাপে দলের সভাপতির নেতৃত্বে ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত এ সংলাপে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা।

সংলাপে সিপিরি পক্ষ থেকে ১৬ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। সংলাপ শেষে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচন একটি প্রহসনে পরিণত হয়েছে। এর থেকে উদ্ধার পেতে হলে নির্বাচনি ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা চালু করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন,‘ কেউ বলছেন প্রধানমন্ত্রীর অধীনে, কেউ বলছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে, কেউ বলছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। আমাদের কথা হলো নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। ওই সময় সরকার কে থাকলো সেটা দেখার বিষয় নয়। সংবিধানেও এটা রয়েছে। ওই সময় সরকার তার রুটিন ওয়ার্ক করবে মাত্র।’

এ সময় তিনি নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হওয়ার বিষয়টি সংবিধানে আরও সুস্পষ্ট করার দাবি জানান।

সিপিপি তার প্রস্তাবে দলীয় প্রার্থীর ক্ষেত্রে কোনও ব্যক্তির ওই দলে পাঁচ বছর সদস্য হিসেবে সক্রিয় থাকা, নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে প্রার্থীদের খরচসহ নির্বাচনি সব ব্যয় সরকারকে বহন করা, জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম চালু না করা, অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার বিধান করা, সংরক্ষিত আসন একশ’তে উন্নীত করে সরাসরি নির্বাচনের ব্যবস্থা করা, ‘না’ ভোটের বিধান চালু করাসহ ১৬ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।

নির্বাচনে সেনা মোতয়নের বিষয়ে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘নির্বাচনে সেনা মোতায়ন হবে কি, হবে না সেটা রাজনৈতিক দলের পরামর্শ দেওয়ার বিষয় নয়। নির্বাচন কমিশন মনে করলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। ’

আজ দুপুর ২টায় গণতন্ত্রী পার্টির সঙ্গে সংলাপে বসবে নির্বাচন কমিশন। 
আরও পড়ুন: 

যুক্তরাজ্যে জাতিগত বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বাংলাদেশিরা


ফটো সাংবাদিকের ওপর চড়াও এক ট্রাফিক সার্জেন্ট