আজ রাতের ফ্লাইটের টিকিট কেটেছেন প্রধান বিচারপতি

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা

শুক্রবার রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের এসকিউ ৪৪৭ ফ্লাইটের টিকিট কেটেছেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। স্ত্রীকে নিয়ে শুক্রবার রাতের ফ্লাইটে তার বিদেশ যাওয়ার কথা রয়েছে। ইতোমধ্যে ১৩ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত বিদেশে অবস্থানের বিষয়টি রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিয়ে অবহিত করেন প্রধান বিচারপতি।

বিমানবন্দর সূত্রে জানায়, রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের এসকিউ ৪৪৭ ফ্লাইটটি ঢাকা থেকে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। সেই ফ্লাইটের টিকিট কেটেছেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। 

এদিকে, সন্ধ্যা ৬টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার ইসমাইল হোসেন দেখা করতে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে প্রবেশ করেন। এর পরে সন্ধ্যা ৬টা ১৭ মিনিটে ওই বাসায় প্রবেশ করেন প্রধান বিচারপতির ব্যক্তিগত সহকারী আনিসুর রহমান।


বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) আইন মন্ত্রণালয় প্রধান বিচারপতির ছুটি সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করে। আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক স্বাক্ষরিত এই আদেশে বলা হয়, প্রধান বিচারপতির আবেদনে এর আগে ৩ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত ৩০ দিনের ছুটি মঞ্জুর করেছিলেন রাষ্ট্রপতি। কিন্তু বিচারপতি সিনহা যেহেতু আরও বেশি দিন বিদেশে থাকবেন, সেহেতু রাষ্ট্রপতি নতুন আদেশ দিয়েছেন।’
সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট সিডিউল

উল্লেখ্য, ২৫ দিনের অবকাশ শেষে ৩ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট খোলার দিনই অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ১ নভেম্বর পর্যন্ত এক মাসের ছুটিতে যান সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। এ নিয়ে রাজনৈতিকমহল ও আইনজীবীদের মধ্যে আলোচনার ঝড় ওঠে। এর আগে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া রায় এবং বিচারিক আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি সংক্রান্ত গেজেট নিয়ে সরকারের সঙ্গে প্রধান বিচারপতির মত পার্থক্য দেখা দেওয়ায়, প্রধান বিচারপতিকে জোর করে ছুটিতে পাঠানোর অভিযোগ তোলে বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নেতারা। তবে সরকার ও আওয়ামী লীগ এসব অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে। প্রধান বিচারপতি বা আদালতের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এর মধ্যেই প্রধান বিচারপতি সস্ত্রীক অস্ট্রেলিয়ায় যেতে পাঁচ বছরের ভিসার জন্য দূতাবাসে আবেদন করেন। দেশটিতে বর্তমানে তাদের বড় মেয়ে সূচনা সিনহা অবস্থান করছেন। তাদের তিন বছরের ভিসা দেয় অস্ট্রেলিয়া দূতাবাস। এরপর মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) তিনি আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতিকে তার বিদেশ ভ্রমণের বিষয়টি চিঠি দিয়ে অবহিত করেন। ওই চিঠিতে আগামী ১৩ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি অস্ট্রেলিয়ায় থাকতে চান বলে উল্লেখ রয়েছে।