পৃথিবীর সব দেশেই যানজট আছে, দোষ শুধু আমাদের: শিল্পমন্ত্রী

শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুশিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, ‘চীন, জাপান, ইরানসহ অনেক দেশেই দেখেছি, আমাদেরকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নেওয়া হয়েছে উল্টোপথ দিয়ে। সুতরাং সব দেশেই যানজট আছে। আমাদের বদনামটাই শুধু বেশি।’ বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) ৪৮তম বিশ্ব মান দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

বিএসটিআইকে অনেক তৎপর হতে হবে জানিয়ে মন্ত্রীর ভাষ্য, ‘নগরায়নের প্রতিটি বিষয়েই আমাদের নজর রাখতে হয়। নগরায়ন গঠনের অন্যতম উপাদান রড, সিমেন্টসহ সব পণ্যেরই গুণগত মান পরীক্ষা করতে হয় বিএসটিআইকে।’
বিচ্ছিন্ন, বিক্ষিপ্ত ও অপরিকল্পিতভাবে ঢাকা গড়ে উঠেছে বলে মন্তব্য আমির হোসেন আমুর। তিনি মনে করেন, এজন্য সরকারকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘সরকার আজ পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে পুরান ঢাকার কেমিক্যাল কারখানা, হাজারীবাগের ট্যানারি শিল্পসহ বিভিন্ন কল-কারখানা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সরকার দেশকে উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা যেসব পরিকল্পনা নিয়েছি সেগুলো এগিয়ে নিতে হবে। সেজন্য আগামী নির্বাচনে আপনারা আওয়ামী লীগের পাশে থাকবেন।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ‘শহরের দিক দিয়ে তিন-চার বছর আগেও আমাদের মান ছিল পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক পিছিয়ে। সেই থেকে আমরা তিন-চার ধাপ সামনে এগিয়েছি। এটা খুব বেশি বলে মনে হয় না। আমাদের হাজার সমস্যা। এর মধ্যে এখনও অনেক মৌলিক সমস্যা রয়ে গেছে।’

ডিএসসিসি মেয়র আরও বলেন, ‘আমি দক্ষিণের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশের প্রায় ৮৫ ভাগ রাস্তাই ছিল বেহাল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সাহস জুগিয়েছেন। তিনি পাশে ছিলেন, তহবিল দিয়েছেন। তার অবদানে এখন নগরীর ৮৫-৯০ ভাগ রাস্তাই ভালো।’

জলাবদ্ধতা প্রসঙ্গে সাঈদ খোকন বলেন, ‘এ বছর রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে। এখনও হচ্ছে। বৃষ্টিতে শহরে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এর দায়িত্ব কিন্তু আমাদের নয়, ঢাকা ওয়াসার। কিন্তু মানুষ মনে করে এই দায়িত্বও তার নির্বাচিত প্রতিনিধি মেয়রের। জনগণের সেই চাহিদাও আমাদেরকে পূরণ করতে হয়।’

মেয়র আরও বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর ডিএসসিসি এলাকায় ৩৭ হাজার বাতি এলইডি করার উদ্যোগ নিয়েছি। এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৬ হাজার বাতি লাগানো হয়েছে। এগুলো মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এর ফলে কখনও আলো বেশির দরকার হলে বাড়িয়ে দেওয়া ও কমানো দরকার হলে কমিয়ে দেওয়া যাবে। নির্ধারিত সময়ে বাতিগুলো জ্বলে উঠবে ও বন্ধ হবে। আপনারা যারা পুরান ঢাকায় আছেন তারা তো উপভোগ করবেনই। আর যারা নতুন ঢাকায় আছেন তাদেরও উপভোগ করার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক মো. সাইফুল হাবিব। এছাড়া ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।