বৈঠকে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বশেষ পরিস্থিতি জানানো হয়। উপস্থিত ডিফেন্স অ্যাটাশেরা এ বিষয়টি সম্পর্কে আগ্রহ দেখান।
এছাড়া, বৈঠকে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) সম্পর্কে আলোচনা হয় এবং জানতে চাওয়া হয়, তারা কারা? ২৫ আগস্ট মিয়ানমারে ৩০টি নিরাপত্তা ফাঁড়িতে সমন্বিতভাবে শুধুমাত্র লাঠি ও ম্যাচেতি (চাপাতি ধরনের দেশীয় অস্ত্র) নিয়ে আক্রমণের সক্ষমতা তাদের ছিল কিনা।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অ্যাটাশেদের কাছে রাজনৈতিক সমর্থন ও মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগের অনুরোধ করা হয়।
সরকারের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘বৈঠকে সবাই রোহিঙ্গা সমস্যার রাজনৈতিক সমাধান দরকার, সেটি স্বীকার করেন এবং তাদের ফেরত যাওয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।’
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গারা এমন একটি ভঙ্গুর সম্প্রদায়, যারা উগ্রবাদের শিকার হতে পারেন এবং এমন ঘটনা ঘটলে এ অঞ্চলের অনেক দেশই ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে বৈঠকে মত প্রকাশ করা হয়। আসন্ন শীত মৌসুমে রোহিঙ্গারা মানবপাচারের শিকার হতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ এবং এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সহায়তার অনুরোধ করা হয়।’
আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, ‘উপস্থিত ডিফেন্স অ্যাটাশেরা আমাদের জানিয়েছেন,তারা এ বিষয়ে নিজ নিজ দেশে তাদের রিপোর্ট পাঠাবেন।’
উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন শুরু হলে এখন পর্যন্ত প্রায় ছয় লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। এর আগে গত অক্টোবর থেকে জুলাই পর্যন্ত প্রায় ৯০ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে এসেছিল। তারও আগে থেকে প্রায় তিন লাখ রোহিঙ্গা শরাণার্থী বাংলাদেশে বসবাস করছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের চাপে সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা