বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বিকালে বাংলা ট্রিবিউনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘চার দেয়ালে বন্দি শৈশব’ শীর্ষক বৈঠকিতে এসব কথা বলেন অভিভাবক ও সংগীতশিল্পী রাহুল আনন্দ।
বৈঠকিতে রাহুল আনন্দ অভিভাবক হিসেবে নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বলেন, ‘আমার সবসময় মনে হয় আমার বাচ্চাকে যদি আমার পার করে আসা সেই শৈশবটা দিতে পারতাম! কিন্তু সেটা তো এখন অসম্ভব। ফলে অন্তত চেষ্টা করি, তাকে কাছাকাছি কিছু একটা দিতে। ফলে আমার বাসাটা এমন জায়গায় নিয়েছি যেন সেখান থেকে আমার সন্তানটা একটু সবুজ দেখতে পারে, একটু কাদামাটি মাখতে পারে, বৃষ্টিতে একটু ভিজতে পারে, পিচ্ছিল কাদায় আছাড় খেতে পারে। আমি ও আমার স্ত্রী— দুজনেই এটাকে সাপোর্ট করি।’
রাহুল আনন্দ আরও বলেন, ‘সন্তান তো একটু একটু করে বড় হচ্ছে; লম্বা হচ্ছে, শরীরটা বাড়ছে। কিন্তু শরীরের বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তো মানসিক বিকাশটাও দরকার। বড় হলেই তো সে ধাক্কা খাবে, খেতে বাধ্য। সবাইকেই এই ধাক্কা খেতে হয়। এই যে শৈশব, এটা একবার চলে গেলে তো ফিরে আসবে না। এই শৈশবের আনন্দটাই আলাদা।’
বৈঠকিতে আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তাজুল ইসলাম, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ডিবিসি’র সম্পাদক নবনীতা চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক রাশেদা রওনক খান এবং বাংলা ট্রিবিউনের সম্পাদক জুলফিকার রাসেল।
এটিএন নিউজের মুন্নী সাহার সঞ্চালনায় বাংলা ট্রিবিউন স্টুডিওতে অনুষ্ঠিত বৈঠকি সরাসরি সম্প্রচারিত হয় এটিএন নিউজে। এছাড়া, বাংলা ট্রিবিউনের ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজ থেকেও বৈঠকি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
আরও পড়ুন-
‘সমাজই শিশুদের বন্দিদশায় ঠেলে দিতে বাধ্য করছে’
‘চার দেয়ালে বন্দি শৈশব’ শীর্ষক বাংলা ট্রিবিউন বৈঠকি শুরু
‘শিশুরা বন্দি জীবনে বেড়ে উঠছে, আকাশ দেখার সুযোগ নেই’
‘শিশুদের চার দেয়ালের পরিবেশটাই কি যথেষ্ট আনন্দদায়ক করে দিতে পারছি?’