মাতৃত্বকালীন ভাতার মেয়াদ হতে পারে চার বছর

মেহের আফরোজ চুমকি (ফাইল ফটো)মাতৃত্বের প্রথম চার বছর যদি মা পুষ্টিকর খাবার না খান, তাহলে শিশু অপুষ্টিতে ভোগে এবং তার শারীরিক ও মানসিক বিকাশ সাধিত হয় না। এ কারণে মাতৃত্বকালীন ভাতার মেয়াদ চার বছর করার কথা ভাবছে সরকার।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ‘সামাজিক নিরাপত্তা স্ট্রাটেজি বাস্তবায়নে  মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি একথা বলেন।
গবেষণার উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শূন্য থেকে চার বছরের মধ্যে ৮০ শতাংশ শিশুর শারীরিক ও মানসিক  বিকাশ  সাধিত হয়। আর এই সময়ে মায়ের পুষ্টিকর খাদ্যের পর্যাপ্ততা জরুরি।’
তিনি বলেন, ‘সরকার বর্তমানে দেশের প্রায় আট লাখ মাকে প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে দু’বছর মেয়াদে মাতৃত্বকালীন ভাতা দিয়ে থাকে। এই ভাতা প্রদানের উদ্দেশ্য হলো শূন্য থেকে দুই বছর পর্যন্ত শিশুর বিকাশে সহযোগিতা করা। কিন্তু দুই বছর পরে এই ভাতা বন্ধ করে দিলে শিশুর বিকাশ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। তাই সরকার ভাতা প্রদানের মেয়াদ চার বছর করার চিন্তা ভাবনা করছে।’
সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে উপকারভোগীদের নির্বাচনের ক্ষেত্রে অনিয়ম দূর করাসহ মাতৃত্বকালীন ভাতা কিভাবে আরও নির্ভুলভাবে দেওয়া যায়, সেমিনারে সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম বাংলাদেশের প্রতিনিধি ক্রিসটা রেডার, মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের মহাপরিচালক কাজী রওশন আক্তার, কেবিনেট ডিভিশনের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম  মহিউদ্দিন আহমেদ, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদা শারমিন বেনুসহ সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা।

আরও পড়ুন: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষক কমেছে, বাড়াতে চায় ইউজিসি