দক্ষিণ সিটির ট্রেড লাইসেন্স ও হোল্ডিং ট্যাক্স অনলাইনে

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ব্যবসায়ীরা যেন সহজ,দ্রুত ও নির্বিঘ্নে সেবা পেতে পারেন এ জন্য সংস্থার ট্রেড লাইসেন্স প্রধান ও হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় অনলাইনে করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার নগর ভবনে এ দুটি সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সংস্থার মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।

সভায় মেয়র জানান, ই-ট্রেড লাইসেন্স কার্যক্রমের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা যে কোনও জায়গা থেকে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। অনলাইন এবং যে কোনও পেমেন্ট চ্যানেলের মাধ্যমে ফি প্রদান করতে পারবেন।

তিনি আরও জানান, ই-রেভিনিউ অটোমেশন সেবার মাধ্যমে হোল্ডিং ট্যাক্স দিতে ঢাকা দক্ষিণের বাড়িওয়ালাদের আর নগর ভবন বা আঞ্চলিক কার্যালয়ে যেতে হবে না। এখন থেকে বাসিন্দারা ঘরে বসে সহজেই অনলাইনের মাধ্যমে তাদের হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদান করতে পারবেন। গ্রাহকরা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ফরম পূরণ করলে হোল্ডিং ট্যাক্স যে পরিমাণ বকেয়া আছে তার তথ্য চলে আসবে। গ্রাহকরা পরিশোধ অপশনে গিয়ে ডেবিট-ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারবেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ডিজিটালাইজেশন এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই এ কার্যক্রমগুলো চালু করা হয়েছে। এতে করে দক্ষিণের নাগরিকরা ঘরে বসেই এ সেবা নিতে পারবেন। এর আগে দেখে গেছে, হোল্ডিং ট্যাক্স দিতে এসে নাগরিকদের ব্যাংকে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। এখন থেকে তারা স্বাচ্ছন্দ্যে রেভিনিউ অটোমেশন সেবা ও  ই-ট্রেড লাইসেন্স সেবা নিতে পারবেন।

সংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, আমরা নতুন কোনও হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়াচ্ছি না। আমরা নগরীর বাড়িমালিকদের ট্যাক্স দেওয়ার ক্ষেত্রে যে বৈষম্য বিদ্যমান রয়েছে তার সমতায়ন করছি। যে বাড়ি মালিক ২৯ বছর আগে তার বাড়ির ভাড়া পেতেন ৫ হাজার টাকা এখন তিনি সেই বাড়ির ভাড়া পান দুই লাখ টাকা।  কিন্তু তিনি ৫ হাজার টাকা ভাড়া হিসেবেই বাড়ির ট্যাক্স দিয়ে যাচ্ছেন।

অপরদিকে তার পাশের বাড়ির মালিক নতুন বাড়ি নির্মাণ করায় তার বাড়ির অ্যাসেসমেন্ট বর্তমান ভাড়ার ওপরেই করা হয়েছে। যে কারণে তার হোল্ডিং ট্যাক্স অপর বাড়িমালিক থেকে অনেক বেশি। ট্যাক্স দেওয়ার এই যে বৈষম্য আমরা তার সমতায়ন করছি। একে ট্যাক্স ভাড়ানো হচ্ছে বলা যাবে না।

তিনি আরও বলেন,‘পুরানো বাড়ি মালিকরা গত ২৯ বছর ধরেই আমাদেরকে ট্যাক্স কম দিয়ে আসছেন। আমরা চাইলে আইন অনুযায়ী সেই ট্যাক্সকে বকেয়া হিসেবে ধরে এখন আদায় করতে পারি। কিন্তু আমরা জনগণের কথা চিন্তা করে তা করছি না।’

অনুষ্ঠান শেষে একটি হজ এজেন্সি প্রতিষ্ঠানের মালিক আব্দুল মোদাচ্ছের অনলাইনের মাধ্যমে তার প্রতিষ্ঠানের ই-ট্রেড লাইসেন্স সেবা গ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এটুআই প্রোগ্রাম পরিচালক কবির বিন আনোয়ার, আরবান পাবলিক অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল হেলথ সেক্টর ডেভলপমেন্ট প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক আব্দুল খালেক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাবুদ্দিন খান প্রমুখ।