তাজরীন অগ্নিকাণ্ড: বিচার নিয়ে টালবাহানার অভিযোগ

23756216_1369914836451205_742729893_nতাজরীন গার্মেন্টসে ৫ বছর আগের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখনও সে অর্থে আদালতে সাক্ষী হাজির করতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ। ফলে বিচারে দীর্ঘসূত্রিতা দেখা দিয়েছে। মালিকপক্ষকে বাঁচাতে একাজ করা হচ্ছে। বরিবার প্রেসক্লাবের সামনে ‘তাজরীন অগ্নিকাণ্ড: সাক্ষীরা কোথায়’ শীর্ষক এক প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।

সাক্ষ্য গ্রহণ নিয়ে দীর্ঘসূত্রিতার প্রতিবাদে এ সমাবেশ ডাকা হয়। আয়োজকরা লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০১২ সালেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে  কারখানার মালিকসহ সংশ্লিষ্টদের অবহেলার কথা উল্লেখ ছিল। তারপরও বিচার নিয়ে টালবাহানা চলছে। সমাবেশে বক্তব্য পড়ে শোনান সাংবাদিক সায়দিয়া গুলরুখ।

23755861_1369914849784537_57942312_n

আগামী ২৪ নভেম্বর তাজরীন অগ্নিকাণ্ডের ৫ বছর। অগ্নিকাণ্ডের দায়ে অভিযুক্ত তাজরীনের মালিকসহ ১৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠিত হয় ২০১৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর। গত ২ বছরে ১৯ বার শুনানি হয়েছে। তার মধ্যে মাত্র তিনটি শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষী হাজির করতে পেরেছে।

অ্যাক্টিভিস্ট বাকী বিল্লাহ বলেন, ‘ধারাবাহিকভাবে শ্রমিকদের আগুনে পুড়িয়ে মারে যে মালিকপক্ষ তাদের বিচার হয় না। মালিকের অব্যবস্থাপনায় কিভাবে শ্রমিকের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে, সেটা বের এবং দোষীর শাস্তি হবে বলে আশা করেছিলাম। কিন্তু দেখলাম সরকার মালিকের,শ্রমিকের না।’

গার্মেন্টস নেতা শহিদুল ইসলাম বলেন, সবার চোখের সামনে ১১৯ জন পুড়ে মরার পরও সাক্ষী পাওয়া যায় না। ৫ বছরে মাত্র তিন সাক্ষীকে হারি করা হয়েছে। মালিককে বাঁচাতে সাক্ষী হাজির না করে মামলা দুর্বল করার ষড়যন্ত্র চলছে।

23721789_1369914833117872_48960166_n

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মুশাহেদা সুলতানা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহমুদুল সুমনসহ অনেকে।

এ মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন, তাজরীনের এমডি দেলোয়ার হোসেন, চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার মিতা, প্রকৌশলী এম মাহবুবুল মোর্শেদ,ফ্যাক্টরি ম্যানেজার আব্দুর রাজ্জাক,কোয়ালিটি ম্যানেজার শহিদুজ্জামান দুলাল, প্রোডাকশন ম্যানেজার মোবারক হোসেন মঞ্জু, প্রশাসনিক কর্মকর্তা দুলাল, স্টোর ইনচার্জ হামিদুল ইসলাম লাভলু, সিকিউরিটি সুপারভাইজার আল আমিন, ইনচার্জ আনিসুর রহমান, সিকিউরিটি গার্ড রানা ওরফে আনারুল, স্টোর ইনচার্জ আল আমীন ও লোডার শামীম মিয়া। এমডি দেলোয়ার ও চেয়ারম্যান তার স্ত্রী মাহমুদা আক্তার জামিনে রয়েছেন।