‘নো বিসিএস, নো ক্যাডার’

23998347_1653090228046034_173228625_oবিসিএস পরীক্ষা ছাড়া জাতীয়করণের মাধ্যমে ক্যাডারভুক্তির প্রতিবাদে আজ শুক্রবার সমাবেশ করেছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি। তাদের দাবি, সংশ্লিষ্ট কলেজের শিক্ষকদের শিক্ষা ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত  না করে দ্রুত স্বতন্ত্র বিধিমালা প্রণয়ন করতে হবে। অন্যথায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে যাওয়ার  হুমকি দেওয়া হয় সমাবেশ থেকে। এ সমাবেশের প্রতিপাদ্য ছিল ‘নো বিসিএস, নো ক্যাডার’। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ২০১৬ সালের জুলাইয়ে যেসব উপজেলায় সরকারি স্কুল ও কলেজ নেই সেসব উপজেলায় একটি করে স্কুল ও কলেজ জাতীয়করণের ঘোষণা দেয় সরকার। এর মাধ্যমে ৩২৫টি বেসরকারি স্কুল ও ৩১৫টি বেসরকারি কলেজে জাতীয়করণ হওয়া কথা রয়েছে। ফলে লক্ষাধিক শিক্ষকের চাকরি জাতীয়করণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু কোনোভাবেই চাকরি  জাতীয়করণ হওয়া শিক্ষকদের ক্যাডারভুক্ত করা যাবে না।

মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে চাকরি জাতীয়করণ হওয়া শিক্ষকদের ক্যাডারভুক্ত না করে দ্রুত স্বতন্ত্র বিধিমালা প্রণয়নের দাবি জানান বিসিএস শিক্ষা সমিতির নেতারা।

সমাবেশ করছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতিসরকারের পক্ষ থেকে জাতীয়করণের মাধ্যমে আসা শিক্ষকদের ক্যাডারভুক্ত করা বা সাংঘর্ষিক কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে লাগাতর কর্মবিরতি ঘোষণা দেওয়া হয়।

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির মহাসচিব শাহেদুল কবির চৌধুরী বলেন, ‘আমরা জাতীয়করণকে স্বাগত জানাই। কিন্তু এর মাধ্যমে কোনোভাবেই এই শিক্ষকদের ক্যাডারভুক্ত করা যাবে না।’

তিনি জানান, আগামী ২৬ ও ২৭ নভেম্বর সারাদেশে শিক্ষা ক্যাডারভুক্তরা পূর্ণ কর্মবিরতি পালন করবে। ডিসেম্বরে কোনও কর্মসূচি দেওয়া হবে না। আগামী ৬, ৭ ও ৮ জানুয়ারি একইভাবে সারাদেশে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে।

এছাড়া আগামী রবিবার (২৬ নভেম্বর) সরকারের পক্ষ থেকে যদি জাতীয়করণের মাধ্যমে ক্যাডারভুক্তি বা সাংঘর্ষিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তাহলে পরদিন থেকে লাগাতর কর্মবিরতি পালন করা হবে বলে ঘোষণা দেন সমিতির মহাসচিব।