সমাবেশে বক্তারা বলেন, ২০১৬ সালের জুলাইয়ে যেসব উপজেলায় সরকারি স্কুল ও কলেজ নেই সেসব উপজেলায় একটি করে স্কুল ও কলেজ জাতীয়করণের ঘোষণা দেয় সরকার। এর মাধ্যমে ৩২৫টি বেসরকারি স্কুল ও ৩১৫টি বেসরকারি কলেজে জাতীয়করণ হওয়া কথা রয়েছে। ফলে লক্ষাধিক শিক্ষকের চাকরি জাতীয়করণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু কোনোভাবেই চাকরি জাতীয়করণ হওয়া শিক্ষকদের ক্যাডারভুক্ত করা যাবে না।
মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে চাকরি জাতীয়করণ হওয়া শিক্ষকদের ক্যাডারভুক্ত না করে দ্রুত স্বতন্ত্র বিধিমালা প্রণয়নের দাবি জানান বিসিএস শিক্ষা সমিতির নেতারা।
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির মহাসচিব শাহেদুল কবির চৌধুরী বলেন, ‘আমরা জাতীয়করণকে স্বাগত জানাই। কিন্তু এর মাধ্যমে কোনোভাবেই এই শিক্ষকদের ক্যাডারভুক্ত করা যাবে না।’
তিনি জানান, আগামী ২৬ ও ২৭ নভেম্বর সারাদেশে শিক্ষা ক্যাডারভুক্তরা পূর্ণ কর্মবিরতি পালন করবে। ডিসেম্বরে কোনও কর্মসূচি দেওয়া হবে না। আগামী ৬, ৭ ও ৮ জানুয়ারি একইভাবে সারাদেশে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে।
এছাড়া আগামী রবিবার (২৬ নভেম্বর) সরকারের পক্ষ থেকে যদি জাতীয়করণের মাধ্যমে ক্যাডারভুক্তি বা সাংঘর্ষিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তাহলে পরদিন থেকে লাগাতর কর্মবিরতি পালন করা হবে বলে ঘোষণা দেন সমিতির মহাসচিব।