লক্ষ্মীপুরের সেই এডিসি ওএসডি




শেখ মুর্শেদুল ইসলামলক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) শেখ মুর্শেদুল ইসলামকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব দেওয়ান মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে লক্ষ্মীপুর শহরের কাকলি স্কুলের প্রবেশ পথ দিয়ে আগে-পরে যাওয়াকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মুর্শিদুল ইসলাম ও অবসরপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. সালাহ উদ্দিন শরীফের কথা কাটাকাটি হয়। এসময় তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। পরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে পুলিশ ডাক্তারকে আটক করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে যায়। সেখানে কিছুক্ষণের মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এই চিকিৎসককে কারাগারে পাঠায়।লক্ষ্মীপুরের এডিসিকে ওএসডি করার প্রজ্ঞাপন

খবর পেয়ে জেলায় কর্মরত চিকিৎসকরা ক্ষুব্ধ হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ছুটে যান। বিক্ষুব্ধ অবস্থায় চিকিৎসকরা প্রশাসনের সব সেবা কার্যক্রম ও সব হাসপাতাল-ক্লিনিক বন্ধ রাখার হুমকি দিয়ে নিঃশর্তভাবে ওই চিকিৎসকের মুক্তি দাবি করেন। জেলা প্রশাসক হোমায়রা বেগমের সঙ্গে প্রায় আধা ঘণ্টার মতো রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন তারা। এসময় সাংবাদিকদের কোনও ছবি তুলতে দেয়নি জেলা প্রশাসন।  বৈঠকে চিকিৎসকরা তড়িঘড়ি করে সাজা দেওয়ার বিষয় নিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে প্রশ্ন তোলেন। এসময় জেলা প্রশাসক আপিল করলে সহযোগিতার আশ্বাস দেন চিকিৎসকরা।  গ্রেফতারের ২৪ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার দুপুরে পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় সাবেক সিভিল সার্জনকে জামিনে মুক্তি দেন লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মীর শওকত হোসেন।

আরও পড়ুন- ২৪ ঘণ্টা পর জামিনে মুক্ত লক্ষ্মীপুরের সাবেক সিভিল সার্জন