মন্ত্রী ছায়েদুল হক আর নেই

ছায়েদুল হকমৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক আর নেই (ইন্না লিল্লাহি…..রাজিউন)। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ৯টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে মারা গেছেন তিনি। বিএসএমএমইউ এর পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আব্দুল্লাহ-আল-হারুন বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।   

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ ছায়েদুল হকের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। 

শারীরিক অসুস্থতার কারণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে বেশ কয়েকদিন ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন মন্ত্রী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি নিজ এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ছিলেন। 

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজার পর ছায়েদুল হকের মরদেহ নেওয়া হবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। সেখানে জানাজার পর পারিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।  

উল্লেখ্য, ছায়েদুল হক গত আগস্ট মাস থেকে প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের সংক্রমণে ভুগছিলেন। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালের আইসিইউ এর ১৬ নম্বর বেডে লাইফ-সাপোর্টে ছিলেন।

ছায়েদুল হক ১৯৪২ সালের ৪ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন।  তিনি ১৯৭৩, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসন থেকে মোট পাঁচ বার এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়ে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত এই পদে ছিলেন। এর আগে তিনি খাদ্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিও ছিলেন।

১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা আন্দোলনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন ছায়েদুল হক। ১৯৬৮ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের নির্বাচিত ভিপি ছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধেও সক্রিয় ছিলেন এই নেতা। ১৯৭৩ সালে প্রথমবারের মতো তিনি নাসিরনগর থেকে সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন।