রোহিঙ্গা ইস্যুকে পুঁজি করে রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে চায় তুরস্ক

বাংলাদেশ-তুরস্কএকাত্তরের মানবতাবিরোধীদের বিচারে ঢাকার উদ্যোগের বিরোধিতা করেছিল তুরস্কের শীর্ষ নেতৃত্ব। এ প্রেক্ষাপটে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিমের ঢাকা সফরকে রোহিঙ্গা ইস্যুকে পুঁজি করে অতীতের ভুল শোধরে রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে আঙ্কারার ইচ্ছা হিসেবেই দেখছেন বিশ্লেষকরা।

এ বিষয়ে একজন বিশ্লেষক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ২০১১ সালে তুরস্কের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান ঢাকা সফর করেন। পরের বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তুরস্ক সফর করলেও গত পাঁচ বছরে সম্পর্ক গভীর হতে পারেনি। এর প্রধান কারণ, মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনকারীদের বিচার ও শাস্তি নিয়ে আঙ্কারা সবসময় বিরোধিতা করেছে; যা বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্ব ভালো চোখে দেখেনি।

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে ১৯৭৬ সালে স্বীকৃতি দিয়েছিল তুরস্ক।

ওই বিশ্লেষক আরও বলেন, তুরস্ক রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে সহায়তা দিয়েছে এবং আরও সহায়তা দিতে চায়। দেশটির প্রধানমন্ত্রীর সফরকে বাংলাদেশ স্বাগত জানায়।

তবে এই সহায়তার মধ্যেও কিছু কিছু বিষয়ে দুই দেশের মতভিন্নতা আছে। ঢাকা ইতোমধ্যে তার অবস্থান আঙ্কারাকে জানিয়েছে।

কক্সবাজারে এক লাখ রোহিঙ্গার জন্য ঘর নির্মাণ, তুরস্ক সহায়তা এজেন্সি ‘টিকা’র অফিস ঢাকায় খোলার অনুমোদন এবং টার্কিশ হোপ স্কুল তুরস্ক সরকারের ব্যবস্থাপনায় দেওয়ার প্রস্তাব নিয়ে দুই দেশের মধ্যে মতবিরোধ আছে।

সরকারের একজন কর্মকর্তা বলেন, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ৮৫০ মিলিয়ন ডলার। এরমধ্যে ৬৫০ মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশ রফতানি করে থাকে।

তুরস্ক সরকার ২০১১ সালে বাংলাদেশের পণ্যের ওপর ১৭ শতাংশ হারে বাড়তি শুল্ক আরোপ করে। এর ফলে রফতানি বাধাগ্রস্ত হয়। ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, তুরস্কের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় এ সফরে বিষয়টি বাংলাদেশ জোরালোভাবে তুলবে যাতে তারা এই বর্ধিত শুল্ক প্রত্যাহার করে।

আরও পড়ুন: তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী ঢাকায়