মঙ্গলবার রাতে বিমান বাংলাদেশের বার্ষিক সাধারণ সভা (ইজিএম) অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিমানের ২০১৬-১৭ অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। ওই আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এ নিয়ে পরপর তিনবার ধারাবাহিকভাবে মুনাফা করেছে বিমান। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বিমানের কর পূর্ববর্তী মুনাফা গত অর্থবছরের চেয়ে বাড়লেও নিট মুনাফার পরিমাণ কমেছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বিমান নিট মুনাফা করেছে ৪৭ কোটি টাকা। গত অর্থবছরে সংস্থাটির নিট মুনাফা করেছিল ২৩৫ কোটি টাকা।
বিমানের শেয়ারহোল্ডার ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবুল হাসনাত জিয়াউল হক এ বিষয়ে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিমানের মুনাফা অব্যাহত রয়েছে। তবে নানা প্রতিকূলতার কারণে মুনাফা গত অর্থবছরের চেয়ে কমেছে। কার্গো নিষেধাজ্ঞা, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয় আয়ের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তবে নতুন নতুন রুটে বিমান বহরে আরও উড়োজাহাজ যুক্ত হলে সংস্থাটির আয় আরও বাড়বে।’
আয় কমার বিষয়ে আবুল হাসনাত জিয়াউল হক বলেন, ‘ডলার একচেঞ্জ রেটের তারতম্য, দেশি-বিদেশি এয়ারলাইন্সের প্রতিযোগিতা বাড়ায় সংস্থাটির মুনাফা কমেছে।’
বিমান সূত্রে জানা গেছে, বিমান ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রাজস্ব দিয়েছে ৩৮১ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের চেয়ে ৭৭ কোটি টাকা বেশি। আর ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বিমান কার্গো পরিবহন করেছে ৩৩ হাজার ৫৪২ মেট্রিক টন, যা গত অর্থ বছরের চেয়ে ১৮ শতাংশ কম।
আর্থিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের কার্গো নিষেধাজ্ঞার প্রভাবে কার্গো খাতে আয় কমেছে।