সোমবার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা উদ্বোধনকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় এসে বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দিয়েছি। নতুন শিল্প কলকারখানা গড়ে তুলতে মেশিনারিজ আমদানিতে ট্যাক্স কমিয়েছিলাম। বেসরকারি উদ্যোক্তাদের বিশেষ প্রণোদনা দিয়েছি। যাতে দেশে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প গড়ে ওঠে। বিনিয়োগ বাড়াতে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ করা হয়েছে। যেখানে দেশি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ওয়ানস্টপ সার্ভিস দেওয়া হয়। বাজেটের আকার বাড়ানো হয়েছে। আমাদের উন্নয়ন প্রকল্পের ৯০ শতাংশ ও আমদানির ৭৫ শতাংশ নিজস্ব অর্থায়নে করি। এখন আর কারও কাছে হাত পাততে হচ্ছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আর্থ সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার রোল মডেল। বাংলাদেশ এখন তাদের কাছে বিস্ময়। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আমরা ৩৫ বিলিয়ন ডলার রফতানি করতে পেরেছি। তবে রফতানি আরও বাড়াতে আমাদের নতুন নতুন পণ্য উৎপাদন করতে হবে। বিশ্বের কোন দেশে কোনও পণ্যের চাহিদা আছে তা খুঁজে বের করতে হবে। এরপর পণ্যের মান নিশ্চিত করত হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বিএনপি নেতারা সংসদে বলেছিলেন, ‘দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া ভালো না। তাহলে বিদেশের সাহায্য আসবে না।’ আমাদের অর্থনীতি কৃষি নির্ভর। কৃষির মধ্য দিয়েই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। তবে আমাদের শিল্পেও যেতে হবে। তা না হলে অর্থনীতি উন্নত হবে না। সেই কথা মাথায় রেখেই পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।