নিজের ভাগ্য গড়তে ক্ষমতায় আসিনি: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ফাইল ফটো)দুর্নীতি করে নিজের ভাগ্য গড়তে ক্ষমতায় আসেননি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, আমরা কারও কাছে হাত পেতে চলবো না। পদ্মা সেতু নিয়ে আমাদের ওপর যখন দুর্নীতির দোষ দেওয়া হলো। আমরা চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলাম এটাতে কোনও দুর্নীতি হয়নি। আমরা দেশ গড়তে এসেছি, দেশের মানুষের ভাগ্য গড়তে এসেছি। প্রধানমন্ত্রী থাকার সময়টুকু সম্পূর্ণ কাজে লাগাতে চাই। দুর্নীতি করতে বা নিজের ভাগ্য গড়তে ক্ষমতায় আসিনি। দেশের প্রতিটি মানুষ বা নাগরিক যাতে মাথা উচু করে চলতে পারে সে জন্য কাজ করছি।’

সোমবার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা উদ্বোধনকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।  

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় এসে বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দিয়েছি। নতুন শিল্প কলকারখানা গড়ে তুলতে মেশিনারিজ আমদানিতে ট্যাক্স কমিয়েছিলাম। বেসরকারি উদ্যোক্তাদের বিশেষ প্রণোদনা দিয়েছি। যাতে দেশে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প গড়ে ওঠে। বিনিয়োগ বাড়াতে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ করা হয়েছে। যেখানে দেশি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ওয়ানস্টপ সার্ভিস দেওয়া হয়। বাজেটের আকার বাড়ানো হয়েছে। আমাদের উন্নয়ন প্রকল্পের ৯০ শতাংশ ও আমদানির ৭৫ শতাংশ নিজস্ব অর্থায়নে করি। এখন আর কারও কাছে হাত পাততে হচ্ছে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আর্থ সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার রোল মডেল। বাংলাদেশ এখন তাদের কাছে বিস্ময়। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আমরা ৩৫ বিলিয়ন ডলার রফতানি করতে পেরেছি। তবে রফতানি আরও বাড়াতে আমাদের নতুন নতুন পণ্য উৎপাদন করতে হবে। বিশ্বের কোন দেশে কোনও পণ্যের চাহিদা আছে তা খুঁজে বের করতে হবে। এরপর পণ্যের মান নিশ্চিত করত হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বিএনপি নেতারা সংসদে বলেছিলেন, ‘দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া ভালো না। তাহলে বিদেশের সাহায্য আসবে না।’ আমাদের অর্থনীতি কৃষি নির্ভর। কৃষির মধ্য দিয়েই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। তবে আমাদের শিল্পেও যেতে হবে। তা না হলে অর্থনীতি উন্নত হবে না। সেই কথা মাথায় রেখেই পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।

আরও পড়ুন:
নতুন বছরে সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর