বরিশালে পর্যটন মোটেল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনে চুক্তি সই

পর্যটনবরিশালে একটি পর্যটন মোটেল এবং পর্যটন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করতে চুক্তি সই করছে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন এবং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

সোমবার সচিবালয়ের নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক সই করা হয়। বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর এম মোজাম্মেল হক এবং পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান খান কবির নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সই করেন। এ সময় নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান, পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, নৌপরিবহন সচিব এমএ সামাদ, পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব এসএম গোলাম ফারুক উপস্থিত ছিলেন।

চুক্তি অনুযায়ী, পর্যটন করপোরেশনকে এক একর জমি ‘লাইসেন্স প্রদত্ত সম্পত্তি’ দেবে বিআইডব্লিউটিএ। কীর্তনখোলা নদী সংলগ্ন এলাকায় একটি আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটন মোটেল নির্মাণ করা হলে তা এ এলাকার পর্যটন কার্যক্রমের প্রসারতা ও উন্নয়নসহ জাতীয় অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

চুক্তিতে বলা হয়, পর্যটন মোটেল নির্মাণের ব্যয় পর্যটন করপোরেশন বহন করবে। মোটেল নির্মাণ ও পরবর্তীতে মেরামত ও উন্নয়ন সংক্রান্ত সব কাজ পর্যটন করপোরেশন নিজ দায়িত্বে ও অর্থায়নে করবে। জমিটি বিআইডব্লিউটিএর বরিশালস্থ উত্তর পশ্চিমাংশের জমি। বরিশাল সদরের বগুড়া রোড-আলেকান্দা মৌজায় জেএল নম্বর-৫০ এর প্লট নম্বর-৪৯৮৯ (অংশ) এর ০.১৫৫ একর এবং ৪৯৯০ নম্বর প্লটের ০.৮৪৫ একর মিলে এক একর।

চুক্তিনামা সইয়ের পর থেকে সম্পত্তির মেয়াদ হবে ৩০ বছর। পর্যটন করপোরেশন লাইসেন্সের ভিত্তিতে বার্ষিক কর দেবে। ১০ বছর পর লাইসেন্স ফি উভয় পক্ষের সম্মতিতে বাড়ানো হবে এবং ৩০ বছর পর নতুন চুক্তি সই করতে হবে। তখন যদি কোনও পক্ষ চুক্তিতে আগ্রহী না হয় তাহলে সম্পত্তিটি বিআইডব্লিউটিএর সম্পত্তি বলে বিবেচিত হবে।

আরও পড়ুন:
তারেক ও বাবরসহ সবার মৃত্যুদণ্ডের দাবি