সোমবার নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বাংলা টিবিউনকে বঙ্গভবনের ফোন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘মন্ত্রিপরিষদ সচিব আজ (সোমবার) দুপুরে আমাকে ফোন করেছিলেন। আগামীকাল সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।’ ডাক পাওয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেলে আমি প্রথমেই গোপালগঞ্জে টুঙ্গিপাড়ায় হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে যাবো। শ্রদ্ধা জানাবো মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি। মন্ত্রী হিসেবে আমার প্রথম দায়িত্ব হবে সরকারের সাফল্যকে এগিয়ে নেওয়া। এ মন্ত্রণালয়ের অনেক সফলতা এসেছে গত চার বছরে। এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। এটিই হবে আমার প্রথম কাজ।’
নারায়ণ চন্দ্র চন্দ আরও বলেন, ‘আজ আমার এই অবস্থানের জন্য আমার এলাকার জনসাধারণের প্রতি কৃতজ্ঞ। তারা আমাকে একজন শিক্ষক থেকে মন্ত্রী বানিয়েছেন। আমি ৩৯ বছর শিক্ষকতা শেষে প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে পদত্যাগ করে রাজনীতিতে এসেছি। সত্যিই যদি আমি কাল পূর্ণমন্ত্রী হই, তাহলে তা হবে আমার রাজনৈতিক জীবনের পাওয়া সবচেয়ে বড় উপহার।’ প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখে যে দায়িত্ব দিয়েছেন, তা পালন করার চেষ্টা করেছি। আগামীতেও করবো।’ বাকি পরিকল্পনার কথা বঙ্গভবন থেকে ফিরে এসে জানাবেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মোস্তাফা জব্বার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কয়েক দিন আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ডিজিটাল মেলায় দেখা হয়েছিল। তিনি আমাকে বলেছিলেন, আপনাকে বড় দায়িত্ব দেওয়া দরকার। এর বাইরে আর কিছু বলব না।’ বঙ্গভবনে ডাক পাওয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমার মুখ বন্ধ। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে যোগাযোগ করুন।’
লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের এমপি একেএম শাহজাহান কামাল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মন্ত্রিপরিষদ সচিবের ফোন পেয়েছি। আগামীকাল সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে যাব।’
জানতে চাইলে কাজী কেরামত আলী বলেন, ‘আমি মন্ত্রী হবো, তা দু’দিন আগে থেকেই জানি। আজ (সোমবার ১ জানুয়ারি) কেবিনেট ডিভিশন থেকে ফোন পেয়েছি। আমি এলাকায় ছিলাম। ফোন পেয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছি।’
উল্লেখ্য, বর্তমানে সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য ৪৯ জন। এরমধ্যে প্রধানমন্ত্রীসহ ৩১ জন মন্ত্রী, ১৭ জন প্রতিমন্ত্রী ও ২ জন উপমন্ত্রী। এছাড়া মন্ত্রীর পদমর্যাদায় ৫জন উপদেষ্টা ও একজন বিশেষ দূত রয়েছেন। এর আগে ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি বর্তমান সরকার গঠন করা হয়। সর্বশেষ ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই একদফা মন্ত্রিসভায় রদবদল হয়। এরপর দুই/একজন মন্ত্রীর দফতর পরিবর্তন করা হয়েছে।